ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

গাজীপুর রেলপথে সোয়া ৯ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১০

গাজীপুর: সোয়া ৯ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ এলাকার রেলপথ দিয়ে আবার ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।

কাওরাইদ রেল স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার আব্দুল্যাহ আল মামুন জানান, ঢাকা থেকে রিলিফ ট্রেন ঘটনাস্থলে গিয়ে লাইনচ্যুত বগি সরিয়ে ফেললে দুপুর ২টায় ট্রেন চলাচল আবার স্বাভাবিক হয়।



মঙ্গলবার ভোর সোয়া ৫টায় ভাওয়াল এক্সপ্রেস ট্রেনের (৫৫ আপ ট্রেন) ৩টি মালবাহী বগি লাইনচ্যুত হলে সকল রুটের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এ ঘটনায় কমপে ৫০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। ট্রেনটি ঢাকা থেকে ময়মনসিংহের দেওয়ানগঞ্জে যাচ্ছিল।

জানা গেছে, ট্রেনের ৫টি বগির ভেতরে ও ছাদে চার থেকে পাঁচ হাজার যাত্রী ছিলেন।

দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার হুমায়ুন মিয়া (২৫), সুমন (১৮), আবুল হোসেন (২৫), নান্দাইল উপজেলার হাবিবুর রহমান (২০), আব্দুল হান্নান (৩৫), গফরগাঁও উপজেলার হারুন অর রশীদ (৪০), নেত্রকোনা জেলার আবুল হাশেম (৩০), মাইনুদ্দীন (৪৫), গণি মিয়া (২৪), জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার মাসুদ (৩৫), আনোয়ারা বেগম (২৮), কুদু ফকির (৪৪), মনির হোসেন (১৭), কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলার সোহাগের (১৮) নাম জানা গেছে। তারা স্থানীয় শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক খায়রুল আনাম।

এ ছাড়া গুরুতর আহত অজ্ঞাত দুই যুবককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও মাসুদ, আবুল হোসেন, আবুল হাসেম, মাইনুদ্দিন, আনোয়ারা বেগম, কুদু ফকির, মনির এবং ডালিমসহ ৮ যাত্রীকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর সুপারিশ করা হয়েছে বলে জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক মো. সালেহ ফয়সল জানান। গুরুতর আহতদের মধ্যে কারো হাত-পা কেটে গেছে। কারো হাত-পা ভেঙে গেছে। কেউবা মাথায় জখম প্রাপ্ত হয়েছেন।    

ঘটনার পর কাওরাইদ রেল স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার আব্দুল্যাহ আল মামুন জানান, ‘মঙ্গলবার ভোর সোয়া ৫টার দিকে ঢাকা থেকে ময়মনসিংহগামী ৫৫নং ভাওয়াল এক্সপ্রেস ট্রেনের পেছনের ৩টি মালভর্তি বগি লাইনচ্যুত হয়। কাওরাইদের বালিয়াপাড়া নতুন বাজার এলাকায় ওই দুর্ঘটনাটি ঘটে। ট্রেনটিতে ৪ হাজারের মতো যাত্রী ছিলেন ধারণা করেন তিনি।

ঘটনা বিষয়ে ট্রেনের কর্তব্যরত পুলিশ সদস্য হাবিলদার নুরুল হোসেন জানান, ‘দুর্ঘটনার সময় ট্রেনের ছাদ থেকে যাত্রীরা ছিটকে পড়ে ও অতিরিক্ত ঝাঁকুনিতে ট্রেনের ভেতরে কমপে ৫০ জন যাত্রী আহত হন। ’

আহত নেত্রকোনা জেলার আবুল হাশেম জানান, ‘ভোর সাড়ে ৫টায় সাতখামাইর ও কাওরাইদ রেলস্টেশনের মধ্যবর্তী সুতিয়া নদীর সেতু পার হওয়ার পর ট্রেনের মালবাহী একটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। এরপর ট্রেনটি দেড় কিলোমিটার এলাকা ছেঁচড়িয়ে বালিয়াপাড়া এলাকায় গিয়ে এমনিতেই থেমে যায়। এ সময় ঝাঁকুনিতে ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে ও কামরার ভেতরে থাকা ৫০ জন যাত্রী আহত হন। ’

এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক ও ট্রেনের কর্তব্যরত পুলিশ সদস্য হাবিলদার নুরুল হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ‘ছিটকে পড়া আহত যাত্রীদের অধিকাংশই জামালপুর-ময়মনসিংহ জেলার দিনমজুর, রিক্সাচালক ও হকার। ’

তিনি আরো জানান, ‘ট্রেনের অধিকাংশ যাত্রীই সড়ক পথে বাসে-ট্রাকে করে চলে গেলেও আটকা পড়ে রয়েছেন আরো কয়েক হাজার যাত্রী। ’

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।