রংপুর : রংপুর সদর উপজেলার পাগলাপীর এলাকায় যাত্রাপালার আয়োজকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশসহ আহত হয়েছে কমপক্ষে ৫০ জন।
সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ সংঘর্ষ থামাতে প্রায় ৫০ রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়ে।
সংঘর্ষের সময় প্রায় ঘণ্টাব্যাপী রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে।
রংপুর কোতোয়ালি থানার ওসি হায়দার আলী মোল্লা জানান, পাগলাপীর এলাকার রেজাউল ইসলাম দাদুল গত ২৫ দিন আগে যাত্রা প্রদর্শনের জন্য অনুমতি চান। কিন্তু পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে কোনো অনুমতি না পেয়ে সোমবার এলাকার লোকজনকে সংগঠিত করে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। বিকেল ৩টার দিকে মহাসড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করলে স্থানীয়রা বাধা দেয়। যাত্রাপালার অনুমতির জন্য সন্ধ্যা ৭টার দিকে তারা আবার রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়ক অবরোধ করে। এরপর রংপুরের পুলিশ সুপার সালেহ মো. তানভীরের নেতৃত্বে পুলিশ ও র্যাব-৫ এর এসএসপি আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে র্যাব সদস্যার তাদের সরিয়ে দিতে গেলে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে ৫ পুলিশ সদস্য আহত হন।
এলাকাবাসীর মধ্যে আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় ৫ জনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান যাত্রাপালা আয়োজকদের প্রধান দাদুল।
ঘটনার পর জেলা প্রশাসক এম এনামুল হক, সদর থানার নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাইন বিল্লাহসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন।
ওসি হায়দার আলী জানান, যাত্রার অনুমতি দিলে এলাকায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বেড়ে যাবে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হবে। তাই অনুমতি দেওয়া হয়নি।
অন্যদিকে আয়োজকদের প্রধান রেজাইল ইসলাম দোদুল বলেন, ‘যাত্রাপালা আয়োজনে পুলিশের অনুমতি আছে। কিন্তু স্থানীয় সাংসদ সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের ভাতিজা হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফের দাবি করা ৫ লাখ টাকা চাঁদা দিতে না পারায় যাত্রাপালার আয়োজন করতে দেওয়া হচ্ছে না। এ ঘটনার জের ধরেই পুলিশ আমাদের লোকজনকে মারধর করেছে। ’
এ বিষয়ে সাংসদ শাহরিয়ার আসিফের সঙ্গে কথা বলার জন্য তার মোবাইলে বারবার কল দিলেও তিনি সাড়া দেননি।
বাংলাদেশ সময় : ২২০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১০