ঢাকা: শ্যামলীতে রোববার ছামীকে নিয়ে তার বাবা-মা ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন। বাবা-মা ভেবেছিলেন, টাকা পয়সার সঙ্গে তাদের প্রিয় ছেলেও ছিনতাই হয়ে গেছে।
সোমবার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে শেরেবাংলা নগর থানার অপারেশন কর্মকর্তা কৃপাসিন্ধু বালা বাংলানিউজকে জানান, সকাল দশটায় পুলিশ নিশ্চিত হয় যে, শিশু ছামী তার বাবা মো. মোশাররফ হোসেনের কাছে নিরাপদে ফিরে গেছে।
ঘটনার পরপরই শেরেবাংলা নগর থানায় অপহরণের অভিযোগে দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা করেন মোশাররফ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রজিবুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ঘটনার সময় ছামী ভয় পেয়ে দৌড়ানো শুরু করলে একপর্যায়ে সে বাবা-মায়ের কাছ থেকে দূরে সরে যায়।
এদিকে রাস্তায় ছামীকে এলোমেলো হাঁটতে দেখে চাচাতো বোন নাসিমা তাকে দারুস সালাম রোডের লালকুঠিতে নিজের বাসায় নিয়ে যান।
মোবাইল ফোন ছিনতাই হয়ে যাওয়ায় মোশাররফকে বার বার কল দিয়েও যোগাযোগে ব্যর্থ হন নাসিমা।
পরে মোশাররফ নিজে থেকে আত্মীয় স্বজনের বাসায় যোগাযোগ শুরু করলে রোববার সন্ধ্যায় ছামীকে নাসিমাদের বাসায় খুঁজে পান।
কিন্তু মোশাররফ ছেলেকে ফিরে পাওয়ার পরও পুলিশকে সে খবরটা তাৎক্ষণিকভাবে না জানিয়ে জানান সোমবার সকালে।
এদিকে, ওই ঘটনায় পলাতক দুই ছিনতাইকারীকে এখনও ধরতে পারেনি পুলিশ।
তবে আটক অপর দুই ছিনতাইকারী বখতিয়ার হোসেন (৩২) ও জায়েদ আলীকে (৩০) তিন দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান এসআই রজিবুল ইসলাম।
রোববার দুপুরে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন মোশাররফ হোসেন ও তার স্ত্রী সুমি আক্তার।
এ সময় সুমির সাহসিকতায় এবং পুলিশ ও আশেপাশের লোকজনের সহযোগিতায় দু’ ছিনতাইকারীসহ প্রাইভেট কার আটক করা গেলেও অন্য দুই ছিনতাইকারী পালিয়ে যায়। নিখোঁজ হয় শিশু ছামী।
বাংলাদেশ সময় : ২১০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১০