সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জ সদরের সয়দাবাদে বিএনপির সমাবেশের পাশে ট্রেন দুর্ঘটনা, ট্রেনে অগ্নিসংযোগ, হামলা ও লুটপাটের ঘটনা নিয়ে গঠিত তদন্ত দল সোমবার জেলা প্রশাসকের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করেছে।
গত ২১ অক্টোবর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জনসভার পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তদন্তদলের প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দীপক রঞ্জন অধিকারী কোনো তথ্য জানাতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।
সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. আমিনুল ইসলাম তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
দুর্ঘনার পর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দীপক রঞ্জন অধিকারী, সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ার হোসেন, সিরাজগঞ্জ রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিমল কুমার চাকী, রাজশাহী বিভাগীয় রেলওয়ের পরিবহন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলামকে নিয়ে চার সদস্যের তদন্তদল কাজ শুরু করে।
প্রথমে সাত কর্মদিবস ধার্য থাকলেও তদন্তের মেয়াদ আরও ২০ কর্মদিবস বাড়ানো হয়। বর্ধিত এই তারিখ আগামী ২৩ নভেম্বর শেষ হওয়ার কথা। তবে তার আটদিন দিন আগেই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হলো।
তদন্তকালে ঘটনাস্থলে উপস্থিত কর্তব্যরত র্যাব, পুলিশ, আনসার, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, সাংবাদিক, এলাকার বাসিন্দাসহ প্রায় ৭০ জনের স্যা গ্রহণ করা হয়েছে।
গত ১১ অক্টোবর কেন্দ্রীয় ছাত্রদল সিরাজগঞ্জ জেলার সয়দাবাদ এলাকার মুলিবাড়ী রেলক্রসিং-এর পাশের মাঠে জেহাদ দিবস উপলে ছাত্র গণজমায়েতের আয়োজন করে। এই জমায়েতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
সভা চলার সময় বিকেল তিনটার দিকে দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে ছয়জন নিহত হয়। এরপর বিএনপি সমর্থকরা আগুন লাগিয়ে ট্রেনের ১১টি বগি পুড়িয়ে দেয়।
এ ঘটনায় র্যাব, পুলিশ, রেলওয়ে কর্তৃপ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ফায়ার সার্ভিস, স্থানীয় আইনজীবীর প থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানায় আটটি মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দসহ ৩৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় প্রায় ১৫ হাজার লোককে আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
রাজশাহী বিভাগীয় রেলওয়ের প থেকে গঠিত তদন্তদলের রিপোর্ট এর আগে রেলওয়ের মহাপরিচালকের দপ্তরে দাখিল করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১০