ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

গ্যাস বিক্রির আগে দেশে ব্যবহারের নিশ্চয়তা চাইছে সরকার

হাসান আজাদ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২১ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০১০

ঢাকা: তৃতীয় পক্ষের কাছে গ্যাস বিক্রি করতে বহুজাতিক তেল গ্যাস কোম্পানি কেয়ার্নকে অনুমতি দেওয়ার আগে দেশে গ্যাসের ব্যবহার নিশ্চিত করতে চাইছে সরকার। উৎপাদন বন্টন চুক্তি (প্রোডাক্টশন শেয়ারিং কন্ট্রাক্ট-পিএসসি) সংশোধনের আগেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে পেট্রোবাংলাকে নির্দেশ দিয়েছে জ্বালানি মন্ত্রণালয়।

গত ৩০ জুন এক চিঠিতে এই নিদের্শ দেওয়া হয়।

একই সঙ্গে কেয়ার্ণ তৃতীয় পক্ষের কাছে যে গ্যাস বিক্রয় করবে এবং তা থেকে যে আয় হবে তার উপর করপোরেট ট্র্যাক্স কেয়ার্নকেই বহন করার জন্য বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, পিএসসি অনুযায়ী কেয়ার্নের গ্যাস বিক্রির ট্র্যাক্স পেট্রোবাংলাকেই পরিশোধ করতে হত।

এদিকে, মন্ত্রণালয় ও পেট্রোবাংলা একে অপরের ওপর বিষয়টির দায়িত্ব চাপাচ্ছে।

রোববার দুপুরে ভারপ্রাপ্ত জ্বালানি সচিব মোহাম্মদ মেজবাহউদ্দিনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘বিষয়টি পেট্রোবাংলা দেখছে। তারাই ভাল বলতে পারবে। ’

এর আগে শনিবার রাতে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান অধ্যাপক হোসেন মনসুর এর কাছে এ বিষয়ে মোবাইলফোনে জানতে চাওয়া হলে তিনি বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, কেয়ার্ন এর সঙ্গে সব ধরনের কথাবার্তা ও কাজ করেছে মন্ত্রণালয়। তৃতীয় পক্ষের কাছে গ্যাস বিক্রির বিষয়টি মন্ত্রণালয়ই ভাল বলতে পারবে।

জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের উর্ব্ধতন এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, রোববার সকাল ১০টায় জ্বালানি সচিবের সঙ্গে সাক্ষাত করেন কেয়ার্ণ এনার্জি বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফিল ডোলান।

ওই কর্মকর্তা জানান, কেয়ার্ন এনার্জি  ১০ ও ১৬ নং ব্লক থেকে গ্যাস উঠিয়ে তৃতীয় পরে কাছে বিক্রি করার অনুমতি চেয়েছিল ২০০৮ সালের আগষ্ট মাসে। এসময় কেয়ার্নের পক্ষ থেকে বলা হয়, তাদের তৃতীয় পরে কাছে গ্যাস বিক্রি অথবা গ্যাসের দাম বাড়ানোর অনুমতি দেয়া না হলে তারা কোন কাজ করবে না। এই প্রেেিত একই মাসে পেট্রোবাংলা জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের কাছে কেয়ার্ন এনার্জিকে ১০ নং ব্লকের মগনামা ও হাতিয়ায় গ্যাস পেলে গ্যাস বিক্রির অনুমতি দেওয়ার সুপারিশ করে।

নোয়াখালী, লীপুর ও ভোলার ৩ হাজার ৮৬৪ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই ১০ নং ব্লক।

সর্বশেষ গত মার্চ মাসে ১০ নং ব্লকের পাশে সুন্দলপুরকে এই ব্লকের যোগ করা এবং এর আগে ১৬ নং ব্লকে অবস্থিত দক্ষিণ সাঙ্গুর গ্যাস তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রির অনুমতি দেওয়ার দাবি জানায়। নতুন করে তাদের এই দাবি এখন সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে পেট্রোবাংলা ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়।

পেট্রোবাংলার একজন উর্দ্ধতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না কররার শর্তে জানান, দক্ষিণ সাঙ্গু থেকে দৈনিক ৪০ থেকে ৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে। এই গ্যাস দিয়ে চট্টগ্রামের গ্যাস ও বিদ্যুতের সমস্যা কিছুটা মেটানো সম্ভব হবে বলে ওই কর্মকর্তা জানান।

পিএসসি’র ধারা ১০ এ বলা হয়েছে, কোম্পানি তৃতীয় পরে কাছে গ্যাস বিক্রি করতে পারে যদি পেট্রোবাংলা গ্যাস কিনতে রাজি না হয়। অন্যদিকে ধারা ১৬ তে বলা হয়েছে, হয় পেট্রোবাংলা গ্যাস কিনবে অথবা আন্তর্জাতিক কোম্পানি তৃতীয় পরে কাছে গ্যাস বিক্রি করবে।

বাংলাদেশ সময় : ১৯৩০, জুলাই ৪, ২০১০।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।