ঢাকা: জুরাইনে দুই শিশু সন্তানসহ গৃহবধূ রীতা আত্বহত্যা প্ররোচণা মামলায় রীতার স্বামী রাশেদুল কবির ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা স্মৃতিকে আবারও দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মাহবুবুর রহমান আজ রোববার পুনরায় সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।
আদালতের জেনারেল রেকর্ডিং কর্মকর্তা সালোয়ার হোসেন শুনানিতে বলেন, আসামিদের সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্ত কর্মকর্তা ঘটনায় ব্যবহৃত ওষুধের খোসা ও যে বোতলে ওষুধ মেশানো হয়েছিল তা উদ্ধারের জন্য আবারও সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।
এর জবাবে আসামি পরে আইনজীবী হাবিবুর রহমান ও আব্দুল্লাহ আল মামুন রাশেদ বলেন, আসামিদের সাত রিমান্ডে নিয়ে কোনো তথ্য জানা যায়নি। শুধুমাত্র ওষুধের খোসা ও বোতল উদ্ধারের জন্য আবারও রিমান্ডে দেওয়া অর্থহীন। তারা রিমান্ড আবেদন বাতিল করে আসামিদের জামিন প্রার্থনা করেন।
রাশেদুল কবির ও রাজিয়া সুলতানা স্মৃতিকে ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১১ টায় গুলশানের পিজাহাটের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার পর থেকেই তারা পলাতক ছিলেন।
গত ১০ জুন দিবাগত রাত্রে ফারজানা কবির রীতা, ছেলে পাবন ও মেয়ে পায়েল ২২৯ আলমবাগ নতুন জুরাইনের সোনারতরী ভবনের ২য় তলায় আত্বহত্যা করেন। এ ঘটনায় ১১ জুন রীতার মা মাজেদা বেগম রীতার স্বামী রাশেদুল কবীরসহ আট জনকে আসামী করে কদমতলী থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন রীতার শ্বশুর ইত্তেফাকের বিশেষ সংবাদদাতা শ্বশুর শফিকুল কবির, শ্বাশুড়ী নূরবানু, ননদ সুখন কবির ও কবিতা কবির, ননদের জামাই দেলোয়ার। তারা দুই দফায় ছয় দিনের রিমান্ড শেষে বর্তমানে জেলহাজতে আছেন।
মামলার আরেক আসামি ড্রাইভার আল আমিন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। এজাহার বহির্ভুত আসামি ওষুধের দোকানের মালিক গাফফারও জেলহাজতে আছেন।
বাংলাদেশ সময় ১৭৪২ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০১০