ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

এবার আকাশপথে বঙ্গবন্ধু বিমানবন্দরের স্থান সন্ধান

উবায়দুল্লাহ বাদল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১০
এবার আকাশপথে বঙ্গবন্ধু বিমানবন্দরের স্থান সন্ধান

ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের স্থান নির্বাচনে এবার হেলিকপ্টারে পর্যবেক্ষণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন জটিলতায় এর আগে নির্বাচিত কয়েকটি স্থান বাদ পড়ার পর নতুন এ উদ্যোগ নিয়েছে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।



আগামী ১৫ নভেম্বর হেলিকপ্টার যোগে উচ্চ পর্যায়ের ৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল মুন্সীগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর ও শরীয়তপুরের আকাশে চক্কর দেবে।

প্রাথমিকভাবে ময়মনসিংহের ত্রিশালে বিমানবন্দর নির্মাণের কথা বলা হলেও তা বাদ দিয়ে নতুন স্থান খোঁজা হচ্ছে।

ওই দিনের জন্য হেলিকপ্টার চেয়ে বৃহস্পতিবারই একটি চিঠি সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারের কাছে পাঠিয়েছে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।

সূত্র জানায়, উচ্চ পর্যায়ের এ দলটি ঘুরে এসে দেওয়া প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে পরে আরো দুটি টেকনিক্যাল টিম ওইসব স্থান পরিদর্শনে যাবে। এরপরই চুড়ান্ত হবে কোথায় নির্মাণ হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।

তবে এরই মধ্যে বিমান সচিব শফিক আলম মেহেদীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল এসব স্থানের স্থলভাগ ঘুরে এসেছেন বলে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সুত্র জানায়।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব শফিক আলম মেহেদী বৃহস্পতিবার বাংলানিউজকে বলেন, ‘আজও আমরা প্রিলিমিনারি গ্রাউন্ড ওর্য়াক করলাম। পদ্মার ওপারে ফরিদপুর, মাদারীপুর ও শরীয়তপুর পরিদর্শন করলাম। আগামী ১৫ নভেম্বর হেলিকপ্টারযোগে এসব এলাকা পরিদর্শন করা হবে। এরপর আরো দুটি পরিদর্শন জরিপ হবে। তার ভিত্তিতে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন প্রধানমন্ত্রী। ’

সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারের কাছে লেখা বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সম্ভাব্য সাইট আকাশপথে পরিদর্শনের জন্য আগামী ১৫ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ঢাকা বিভাগের মুন্সীগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর ও শরীয়তপুর জেলার কয়েকটি স্থানসহ পদ্মার তীরবর্তী এলাকা পরিদর্শন করা হবে। এ জন্য হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা রাখার অনুরোধ করা হলো। ’

প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের(ডিজিএফআই) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোল্লা ফজলে আকবরের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে থাকবেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব শফিক আলম মেহেদী, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার কমোডর মাহমুদ হোসেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণ প্রকল্পের সেল প্রধান জয়নাল আবেদীন তালুকদার, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব আফতাবউদ্দিন তালুকদার, বিমানবাহিনী সদর দপ্তরের পরিচালক (এটিএস) গ্রুপ ক্যাপ্টেন এম আতিয়ার রহমান, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুধেন্দু বিকাশ গোস্বামী ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের পরিচালক (এটিএস/অ্যারো) আজাদ জহিরুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, বিমান মন্ত্রণালয় প্রথম দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জন্য তিনটি স্থানের সুপারিশ করেন। এসব স্থানের মাটিও পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ২টি স্থান ও টাঙ্গাইলের ভূয়াপুর উপজেলার যমুনা নদী তীরবর্তী একটি স্থান ছিল। কিন্তু এ প্রকল্প বাস্তবায়নে সেল গঠন করার পরপরই শুরু হয় বিমানবন্দর ময়মনসিংহ বা টাঙ্গাইলে না করে পদ্মা নদীর ওপারে নির্মাণের তৎপরতা। বিমান মন্ত্রণালয় প্রথমে পদ্মার ওপারে বিমানবন্দর নির্মাণের বিষয়টি গুরুত্ব না দিলেও এখন তা বেশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বেশ কয়েকবার বিমানবন্দর বাস্তবায়ন সেলের একটি প্রতিনিধিদল সরেজমিন পদ্মার ওপারে কয়েটি স্থান পরিদর্শন করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৭ ঘন্টা, নভেম্বর ১১, ২০১০ইং

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।