হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ২৫০টি কারখানার রপ্তানিপণ্য পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে অগ্নিকাণ্ড পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, কী পরিমাণ পণ্যের ক্ষতি হয়েছে, এখনো আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই।
বিজিএমইএ সভাপতি জানান, ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে ইতোমধ্যে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের সংগঠনগুলো কাজ শুরু করেছে। সদস্য কারখানাগুলোর কাছে নির্ধারিত ফরম্যাটে ক্ষতিগ্রস্ত পণ্যের তালিকা পাঠাতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এক-দুই দিনের মধ্যেই কার্গো ভিলেজে ঠিক কত পরিমাণ পণ্য ছিল, তার সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে।
দেশ থেকে সাধারণত তৈরি পোশাক, পচনশীল পণ্য— যেমন শাকসবজি, ফলমূল, পান ইত্যাদি রপ্তানি হয় বেশি। এছাড়া ওষুধের কাঁচামালসহ বিভিন্ন মালামাল ও ডকুমেন্ট আন্তর্জাতিক কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আসে। ফলে এই খাতের ব্যবসায়ীরাও ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
অপর এক প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস, ভেজিটেবলস অ্যান্ড অ্যালাইড প্রোডাক্টস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফভিএপিইএ) সভাপতি এস. এম. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমাদের প্রতিদিনই প্রচুর পণ্য থাকে, এমনটা নয়। বিমানে স্থান খালি থাকার ওপর নির্ভর করে আমরা বিভিন্ন গন্তব্যে পণ্য পাঠাই। যেদিন স্থান বেশি পাই, সেদিনই পণ্য পাঠানোর পরিমাণও বেশি হয়।
তিনি আরও বলেন, আগুনের ঘটনায় আমাদের সদস্যদের কার কত পরিমাণ পণ্য ছিল, সেটি জানার চেষ্টা করছি।
জেডএ/এমজে