আমার কোনো সেফ এক্সিটের প্রয়োজন নেই। আমি এ দেশের নাগরিক আমি এদেশেই থাকবো বলে জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আপনেরা কি সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে যাবেন? আবার কেউ কেউ বলছেন উপদেষ্টারা আঁতাত করছেন পালানোর জন্য বা সেফ এক্সিটে যাচ্ছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, আমরা কোথায় দেশ থেকে পালাবো, আমার ঢাকা শহরে কোনো বাড়ি নেই। চট্টগ্রাম শহরেও কোনো বাড়ি নেই। তো আমি সেফ এক্সিট নিয়ে কি বাইরে রাস্তায় গিয়ে শুয়ে থাকবো। এই দেশটা আমার। আমরা যদি একটা নির্বাচিত সরকারকে দায়িত্বটা বুঝিয়ে দিতে পারি সেটা আমাদের বড় সফলতা। এটা আমাদের জন্য কৃতিত্ব। সেফ এক্সিটের কোনো প্রয়োজনই নেই। আমরা কোনো অপরাধ করিনি, কোনো টাকা লুট করিনি। যে আমাদের লুকিয়ে থাকতে হবে।
সম্প্রতি আপনি একটি মাদ্রাসায় বলেছেন যে বর্তমানে একটি কঠিন সময় পার করছেন, আমরা কি সে কঠিন সময় অতিক্রম করতে পেরেছি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কঠিন সময়তো সব সময়। আমরা যে সময় দায়িত্ব নিয়েছি সেটা একটা সংকটময় সময়ে। সেসময় কোনো ল অ্যান্ড অর্ডার ছিল না। ৫ থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত সে সময়টা আরও বেশি ভয়ঙ্কর ছিল। সেসময় কোনো সরকার ছিল, সংসদ ছিল না। আমরা যখন দায়িত্ব নিয়েছি তখন ২০ বিলিয়ন ডলার ছিল রিজার্ভ। সেটা বর্তমানে ৩২ বিলিয়নের বেশি হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা আইনশৃঙ্খলা থেকে শুরু করে সব সিস্টেমকে একটা সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে পেরেছি। আগামীতে যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন তাদের জন্য আমরা পথ মসৃণ করে রেখেছি।
যাদের আন্দোলনের ফলে আপনারা উপদেষ্টা হয়েছেন, তারা কেন বলছেন বিশেষ করে নাহিদ ইসলাম বলেছেন যে উপদেষ্টাদের সেফ এক্সিটসহ নানা অভিযোগ করছেন এবং তারা কেন আপনাদের অবিশ্বাস করছে এ অবস্থাটা কেন তৈরি হয়েছে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, এটা নাহিদ সাহেবই ভালো বলতে পারবেন। এ ব্যাপারে আমার পক্ষে বলা কঠিন।
তিনি বলেন, আমি যে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছি, আমার কোনো সেফ এক্সিটের প্রয়োজন নেই। আমি এ দেশের নাগরিক আমি এদেশেই থাকবো। আমার কোনো অপরাধ নেই, আমি কোনো রাষ্ট্রীয় সম্পদ চুরি করিনি বা কাউকে চুরি করতে সহায়তা করিনি। অতএব আমার কোনো অপরাধ নেই, তাহলে আমি কেন সেফ এক্সিটের জন্য পাগল হবো।
যারা জুলাই আন্দোলনে সক্রিয় ছিল তাদের সাথে কি সরকারের কোনো দূরত্ব তৈরি হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমারতো মনে হয় না দূরত্ব তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক কারণে অনেকেই অনেক কথা বলেন। সবকিছুতো আর শতভাগ মাপা যায় না। আমাদের সাথে তাদের সম্পর্ক ভালো, রাজনৈতিক নেতাদের সাথেও আমাদের সম্পর্ক ভালো। প্রত্যেকের সাথে আমরা সুসম্পর্ক রাখার চেষ্টা করছি।
জিসিজি/এএটি