ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, আগামী নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটে গোপনীয়তা অটুট থাকবে।
বুধবার (৮ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ডাক অধিদপ্তর প্রাঙ্গণে বিশ্ব ডাক দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য প্রথমবারের মতো নিরাপদ পোস্টাল ব্যালট সেবা চালুর ক্ষেত্রে গোপনীয়তা রক্ষা হবে কিনা সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে বিশেষ সহকারী বলেন, এটি বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে আরও সুদৃঢ় করার এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। মূলত তিনটি ইনভেলাপ এর মাধ্যমে প্রবাসীদের ভোটদান সম্পন্ন করা হবে। ফলে প্রবাসীদের ভোট প্রদান নিরাপদ হবে এবং গোপনীয়তা অটুট থাকবে।
বিশেষ সহকারী বলেন, বাংলাদেশ ডাক দেশের অন্যতম প্রাচীন ও জনগণের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত একটি প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে ৯ হাজার ৮৪৮টি ডাকঘরের মাধ্যমে সারাদেশে প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিচ্ছেন। ডাকঘরগুলো থেকে বর্তমানে প্রায় ২০ ধরনের সেবা—চিঠিপত্র, পার্সেল, সঞ্চয়, মানি অর্ডার, জীবনবীমা, ইলেকট্রনিক মানি ট্রান্সফার ইত্যাদি—প্রদানের পাশাপাশি ই-কমার্স ও ডিজিটাল আর্থিক সেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
বাংলাদেশ ডাক এখন কেবল বার্তা বিনিময়ের মাধ্যম নয়, বরং ডিজিটাল যুগের এক আধুনিক ও নির্ভরযোগ্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। ডাকযোগে ভূমি, পাসপোর্ট, স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র ও ড্রাইভিং লাইসেন্স সেবা এখন নাগরিকদের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাচ্ছে বলেও তিনি জানান।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ডাক বিভাগের ই-কমার্স সেবা সম্প্রসারণ ও দ্রুত ডেলিভারি ব্যবস্থা শক্তিশালী করা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও অটোমেশন সংযোজনের মাধ্যমে সেবার মানোন্নয়ন এবং সেন্ট্রাল লজিস্টিকস ট্র্যাকিং প্ল্যাটফর্ম চালু করে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক লজিস্টিক খাত ডিজিটাল রূপান্তরে এগিয়ে নেওয়া আগামী দিনের লক্ষ্য।
তিনি আরও জানান, নাগরিকের ঠিকানার ডিজিটাল রূপান্তরে সরকারি-বেসরকারি যৌথ অংশদারিত্বে জিও ফেন্সিং করার পাশাপাশি ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষার পাইলট প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে সেন্ট্রাল লজিস্টিক ট্রাকিং প্লাটফর্মের মাধ্যমে ই-কমার্সের জালিয়াতি রোধ করা হবে। আগামী মাস নাগাদ এ প্রকল্পটি চালু হবে। এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) ও অটোমেশন সংযোজন করে ডাক সেবার গতি ও মান বাড়ানো হবে। এছাড়াও ডিজিটাল আর্থিক অন্তর্ভুক্তির পথ সুগম হবে।
নিকটস্থ ডাকঘরের সেবা গ্রহণ করতে এবং আধুনিক ডাক বিভাগের উন্নয়ন অভিযাত্রায় অংশ নিতে তিনি গণমাধ্যমের মাধ্যমে জনগণকে আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আব্দুন নাসের খান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এস এম শাহাবুদ্দিনসহ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এমআইএই/জেএইচ