ঢাকা: শারদীয় দুর্গাপূজার মণ্ডপে অসুরের মুখে দাড়ি লাগিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চক্রান্ত হয়েছিল এবং এর পেছনে ফ্যাসিস্টের দোসরদের মদদ ছিল বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)।
রোববার (০৫ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
সভার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কমিটির মিটিং প্রতি সপ্তাহেই হয়। আজ সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও শারদীয় দুর্গাপূজার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন, চাঁদাবাজি, মাদক, রোহিঙ্গা এবং আমাদের যে ভুলগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, এবারের দুর্গাপূজায় সারা দেশে ৭৯৩টি পূজামণ্ডপে অসুরের মুখে দাড়ি লাগানোর ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে। অনুসন্ধান চলছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ফ্যাসিস্টের সহযোগী ও তাদের বুদ্ধিজীবীদের ইন্ধনে পূজামণ্ডপে অসুরের মুখে দাড়ি লাগিয়ে ধর্মীয় বিভেদ ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সৃষ্টির পাঁয়তারা ছিল। কিন্তু সবার সহযোগিতায় আমরা এ কুচক্রিদের চক্রান্ত নস্যাৎ করতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি বলেন, সবচেয়ে বড় ঘটনা ছিল ধর্ষণের অভিযোগ তুলে চট্টগ্রামকে অশান্ত করা এবং শারদীয় দুর্গাপূজা ঘিরে সহিংসতা সৃষ্টি করা। এসব চক্রান্তের পেছনে যে ফ্যাসিস্টের দোসরদের মদদ রয়েছে তা ইতোমধ্যে প্রতীয়মান হয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশের মণ্ডপে আমাদের প্রধান উপদেষ্টাকে যেভাবে নিন্দনীয়ভাবে উপস্থাপনের সংবাদ পাওয়া গেছে, অসুরের মুখে দাড়ি লাগানোর ঘটনার সঙ্গে তার যোগসূত্র দেখা যাচ্ছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের ঘটনা প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, যে ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে এত তুলকালাম, সে ঘটনার মেডিকেল প্রতিবেদনে আলামতই পাওয়া যায়নি। সেনাবাহিনী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও পাহাড়ি-বাঙালির সহযোগিতায় সুষ্ঠুভাবে ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করা গেছে। এরই মধ্যে পার্বত্য জেলায় অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়েছে। ১৪৪ ধারাও প্রত্যাহার করা হয়েছে।
গতবারের মতো এবারও সারা দেশে শারদীয় দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ, নির্বিঘ্ন এবং উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হওয়ায় তিনি সেনাবাহিনী এবং বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সাধারণ জনগণকে ধন্যবাদ জানান।
এছাড়া সঠিক তথ্য পরিবেশন করে জনগণকে সচেতন করার কারণে গণমাধ্যমকেও ধন্যবাদ জানান তিনি।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পবিত্র কোরআন অবমাননার অভিযোগ অনুসন্ধান চলছে বলেও জানান তিনি।
জিসিজি/আরআইএস