আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে যাত্রীদের বাড়তি চাপ সামলাতে চার জোড়া বিশেষ ট্রেন পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
এছাড়া ৩০ সেপ্টেম্বর ও ৪ অক্টোবর রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী রুটে চলাচলকারী যথাক্রমে ৭৬০/৭৫৯ নং আন্তঃনগর পদ্মা এক্সপ্রেস ও ৭৫৬/৭৫৫ নং আন্তঃনগর মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনের সাপ্তাহিক অফ-ডে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এবারের শারদীয় দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে টানা চার দিন (১ থেকে ৪ অক্টোবর) সরকারি ছুটি। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। এই লম্বা ছুটিতে বিভিন্ন গন্তব্যে গমণেচ্ছু যাত্রীদের বাড়তি চাপ সামলাতে আন্তঃনগর ট্রেনের সময়সূচিতে এ পরিবর্তন আনা হয়েছে।
অফ-ডে প্রত্যাহার করা ট্রেন দুটি সপ্তাহের অন্যান্য দিনের সময়সূচি অনুযায়ী উল্লিখিত তারিখে যথাযথভাবে চলাচল করবে। ওই দিনের টিকেট অনলাইন থেকে সংগ্রহ করা যাবে। ৩০ সেপ্টেম্বরের পরবর্তী সপ্তাহ থেকে আগের মতো ট্রেন দুটির অফ-ডে কার্যকর থাকবে।
অন্যদিকে পুর্বাঞ্চলের যাত্রী চাহিদা বিবেচনায় রেখে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে চট্টগ্রাম-ঢাকা, ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকা এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে অতিরিক্ত চার জোড়া ট্রেন (ট্যুরিস্ট স্পেশাল) পরিচালনা করা হবে। এসব ট্রেনের টিকেট শতভাগ অনলাইনে বিক্রি করা হবে।
এসময় টিকেটধারী যাত্রীদের হয়রানি প্রতিরোধ ও বিনা টিকেটের যাত্রীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন (কমলাপুর) ও বিমান বন্দর রেলওয়ে স্টেশনে পর্যাপ্ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। এছাড়া সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত ভিজিলেন্স টিম কাজ করবে।
যাত্রীদের নির্বিঘ্ন যাত্রা নিশ্চিত করতে এবং সার্বিক আইন শৃংঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ে এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ ফাহিমুল ইসলামের সভাপতিত্বে একটি মতবিনিময় সভা হয়। সভায় যাত্রীদের নির্বিঘ্ন যাত্রা নিশ্চিত করতে এবং সার্বিক আইন শৃংঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়।
মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রুপম আনোয়ারসহ রেলপথ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ রেলওয়ে, রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি) ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এমআইএইচ/জেএইচ