ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

জেল হত্যা মামলার শুনানি ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুলতবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০১০
জেল হত্যা মামলার শুনানি ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুলতবি

ঢাকা: আগামী ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হত্যা মামলার শুনানি মুলতবি করেছেন আপিল বিভাগ এবং এ সময়ের মধ্যে মামলার নথিপত্র দেখাতে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আনিসুল হক এবং অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমকে মৌখিকভাবে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার ৯টা ২০ মিনিটে শুনানি শুরু হয়।

শুনানি শেষে সকাল পৌনে ১০টায় প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের আপিল বিভাগ এ নির্দেশ দেন।

মঙ্গলবার আদালতে শুনানিতে অংশ নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘রায় ঘোষণার আগে এ মামলার প্রকৃত সাক্ষ্যপ্রমাণ বিকৃত করা হয়েছে। সে জন্যই আজ এ মামলার পুনর্বিচার চাচ্ছি। ’

তিনি বলেন, ‘এ মামলায় অনেকেই অভিযুক্ত ছিলেন। নিম্ন আদালত এদের অনেককে খালাস দেন। হাইকোর্ট একজনের সাজা বহাল রাখেন। ’

অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, ‘জেলখানায় জাতীয় নেতা হত্যাকাণ্ডে ষড়যন্ত্র ছিল। এ হত্যাকাণ্ডের বিচার ও রায় হয়েছে। কিন্তু ন্যায়বিচার হয়নি। তাই এর পুনর্বিচার চাই। ’

তখন আদালত বলেন, ‘এখন যদি পুনর্বিাচন করতে হয় তা হলে ইতোপুর্বে নিম্ন আদালত এবং হাইকোর্টের দেওয়া দুটি রায়ই বাতিল করতে হবে। এর ফলে যাদের সাজা হয়েছে তাদের সাজাও বাতিল হয়ে যাবে। ’

আদালত অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ্য করে আরও বলেন, ‘এখন আপনি বলেন, আপনি কি চান?’

এর কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি অ্যাটর্নি জেনারেল।

এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আনিসুল হক আদালতে গালে হাত দিয়ে বসেছিলেন।

আদালত আনিসুল হককে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘গালে হাত দিয়ে বসে থাকলে তো চলবে না, কিছু একটা বলুন। ’

এ সময় আনিসুল হক আদালতকে উদ্দেশ্য বলেন, ‘বঙ্গভবনে তখন ষড়যন্ত্র হয়েছিল। এ কে এম ওবায়দুর রহমান, শাহ মোয়াজ্জেম এবং তাহের উদ্দিন ঠাকুরের নাম পরে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। ’

তিনি আরও বলেন, ‘এ মামলায় তৎকালীন সরকারের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জড়িত ছিলেন। বিচার চলাকালে তারা প্রভাব বিস্তার করে মামলাটিকে অন্যপথে নিয়ে গেছেন। তাই এ মামলায় সুষ্ঠু বিচার হয়নি। এর প্রতিবাদে পদত্যাগও করেছিলাম। ’

আনিসুল হকের এ বক্তব্যের পর আদালত বলেন, ‘সন্তুষ্ট না হয়ে আমরা কোনো এক্সট্রা অর্ডিনারি অর্ডার দিতে পারি না। ’

এ পর্যায়ে আনিসুল হক বলেন, ‘গোটা জাতি তাকিয়ে আছে এ মামলার দিকে। ’

তখন আদালত তাকে বলেন, ‘শুধু কথায় কোনো কাজ হবে না, ডকুমেন্ট দেখান। ’

এর পর আনিসুল হক আদালত থেকে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের বলেন, ‘নিম্ন আদালতে আমরা বিচার পাইনি, এখন জেল হত্যা মামলায় আমরা সুষ্ঠু বিচার চাই। ’

এর আগে গত রোববার চার নেতা হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিলের ওপর তিন সদস্যের আপিল বিভাগে প্রথম দিনের মতো শুনানি শুরু হয়।

প্রথমদিন শুনানি মুলতবি করে আদালত মঙ্গলবার শুনানির দিন ধার্য করেন।

রোববার শুনানিতে মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি আনিসুল হক বিচার প্রক্রিয়ায় প্রভাব বিস্তার করা ও নানা প্রতিবন্ধকতা তুলে ধরে লিভ টু আপিল মঞ্জুরের আবেদন জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।