আইনজীবী সনদ ও সদস্য পদ স্থগিতের পর পটুয়াখালী জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. রুহুল আমিনের নিয়োগ বাতিল করেছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
রোববার (২৪ আগস্ট) আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে।
২০২৪ সালের ১৩ নভেম্বর রুহুল আমিনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
গত বুধবার পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (সিনিয়র জেলা জজ) নীলুফার শিরিন পিপি রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে ‘ঘুষ সাধার’ অভিযোগ আনেন।
ঢাকার বার কাউন্সিলের সচিবের কাছে পাঠানো চিঠিতে তিনি এ অভিযোগ করেন। লিখিত অভিযোগে বিচারক বলেন, বুধবার সকাল ৯টার দিকে তার বাসার গৃহকর্মীর কাছে একটি লাল ব্যাগ দিয়ে যান সরকারি কৌঁসুলি রুহুল আমিনের একজন লোক। ওই ব্যক্তি ব্যাগটি তাকে (বিচারক) দিতে বলে যান। ব্যাগটি খোলার পর ভেতরে দুটি খাকি রঙের খাম পাওয়া যায়। একটিতে একটি মামলার যাবতীয় কাগজপত্র, অন্য খামে ৫০০ টাকার নোটের একটি বান্ডিল। তিনি টাকা গুনে দেখেননি। তবে অনুমানের ভিত্তিতে বোঝা যায়, এতে ৫০ হাজার টাকা আছে।
অভিযোগ ওঠার পর জেলা আইনজীবী সমিতি রুহুল আমিনের সদস্যপদ সাময়িক স্থগিত করে।
বিচারককে ঘুষ সাধার অভিযোগের প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়ায় শনিবার বার কাউন্সিল থেকে পিপি রুহুল আমিনের আইনজীবী পদ স্থগিত করা হয়েছে।
** ঘুষ-কাণ্ড: পটুয়াখালীর পিপি রুহুল আমিনের সনদ স্থগিত
এমআইএইচ/আরএ