সিলেট: বিয়ানীবাজারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় সাংবাদিকসহ উভয় গ্রুপে ১২ জন আহত হয়েছেন। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় বিয়ানীবাজারের পৌরশহরে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, দুপুরে বিয়ানীবাজার ছাত্রলীগের আহবায়ক জামাল হোসেন ও যুগ্ম আহবায়ক আবুল কাশেমের সমর্থকের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে সন্ধ্যায় উভয় গ্রুপের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ বাধেঁ।
এসময় উভয় গ্রুপের নেতা-কর্মীরা পৌরশহরে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দেয়। এ নিয়ে পথচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে প্রাণভয়ে লোকজন দিকবিদিক ছোটাছুটি শুরু করে। ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে দেয়।
পরে ওসি একেএম ফজলুল হক শিবলীর নেতৃত্বে শহরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ এ পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাশেমের সমর্থিত গ্রুপের অজিত, সম্রাট ও রাজু রয়েছে বলে জানা গেছে।
আহতরা হলেন- ময়জুল ইসলাম, একন আহমদ, রাজু আহমদ, হোসেন আহমদ, জয়নাল উদ্দিন, ফেরদাউস আহমদ প্রমুখ।
এদিকে অস্ত্রের মহড়ার ছবি তুলতে গিয়ে ছাত্রলীগ কর্মীদের ছুরিকাঘাতে ইত্তেফাক প্রতিনিধি আব্দুল খালিকের ডানহাতের দু’টি আঙুলে প্রচণ্ড আঘাত লাগে।
উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মো. জামাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, আবুল কাশেম পল্লবের কর্মীরা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত। তিনি ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে সাংবাদিক আহতের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন এবং দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
বাংলাদেশ সময়:০০৪৫ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১০