বরিশাল: বরিশালের গৌরনদীতে পাচারকালে ছ’টি নসিমন থেকে ওএমএস এর ১০ টন চাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। এছাড়া পাচার কাজে ব্যবহৃত নসিমনের ছয় চালককেও আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে গৌরনদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই উদ্ধার ও আটক অভিযান পরিচালিত হয়।
তবে অভিযান চলাকালে চাল ভর্তি অপর এক নসিমন পালিয়ে যেতে সম হয়।
আটককৃতরা হলেন- নসিমন চালক জাকির হোসেন, সোহেল আহম্মেদ, ফারুক হোসেন, আজিজুল ইসলাম, আনিসুল ইসলাম ও রহমান।
পুলিশ জানায়, গৌরনদী বাসস্ট্যান্ড থেকে ওএমএস’র চাল পাচার হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওসি’র নেতৃত্বে গৌরনদী থানা পুলিশের একটি টিম ওই এলাকায় অভিযান চালায়।
অভিযানে বাসস্ট্যান্ড পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে ছয়টি নসিমন বোঝাই ১০ টন ওএমএস’র চাল উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নসিমন চালকদের আটক করা হয়।
চালগুলো আগৈলঝাড়া খাদ্য গুদামের বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আগৈলঝাড়া খাদ্য গুদামের ইনচার্জ শাহ আলম চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, শুক্রবার ডিলার হান্নান মোল্লা, মান্নান হাওলাদার, রমনী বাড়ৈ, গিয়াস উদ্দিন হাওলাদার ও রমনী কান্ত সরকার ওএমএস’র ২০ টন চাল উত্তোলন করেন। এছাড়া পূজার পাওনা ১শ’ ৪০ কেজি চাল তাদের দেওয়া হয়েছে।
গৌরনদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, চালগুলো আগৈলঝাড়া থেকে এসেছে।
ওই উপজেলার খাদ্য গুদামের ইনচার্জ শাহ আলম চৌধুরী সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উদ্ধারকৃত চাল ওএমএস’র।
এ ঘটনায় মামলা হবে বলেও জানান তিনি।
আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপংকর বিশ্বাস বাংলানিউজকে জানান, তদন্তে ওএমএস’র চাল প্রমাণিত হলে ডিলারদের লাইসেন্স বাতিলসহ তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ মতা আইনে মামলা দায়ের করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০১০