ঢাকা: রাজধানীর কদমতলীর খানকাহ শরীফ রোডে শুক্রবার ভোরে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে ৫ জন নিহত হয়েছেন। কদমতলী থানা পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
নিহতদের মধ্যে ২ জন ঘটনাস্থলে, ২ জন হাসপাতালে নেওয়ার পথে ও অপরজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গুরুতর আহত অবস্থায় আরও ২ জনকে ভর্তি করা হয়েছে।
কদমতলী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল আহাদ গণপিটুনিতে ৫ জন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত ডাকাতদের নাম-পরিচয় তিনি তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি।
এসআই আব্দুল আহাদ ঘটনাস্থল থেকে মোবাইল ফোনে বাংলানিউজকে জানান, এলাকাবাসী আরও ডাকাতের সন্ধানে পুকুর, ডোবা, বিল-ঝিলে এখনও তল্লাশি চালাচ্ছে।
এলাকাবাসী ও কদমতলী থানা সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে খানকাহ শরীফ রোডে ১০/১২ জনকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখতে পান বাসিন্দারা। এ সময় এলাকাবাসী তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর চড়াও হয়। এ সময় স্থানীয় লোকজন তাদের ঘিরে ধরে পিটুনি শুরু করে। এক পর্যায়ে ভোর ৫ টার দিকে ঘটনাস্থলেই ২ জন নিহত হয়। জনতার রোষানল থেকে পুলিশ আরও ২ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তাদের মৃত্যু হয়।
অপরদিকে এলাকার বিভিন্ন স্থানে বাকি ডাকাতদের খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। একপর্যায়ে খানকাহ শরীফ কবরস্থানে লুকিয়ে থাকা আরও ২ জনকে আটক করে গণধোলাই দেয় জনতা। পুলিশ তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল সোয়া ৭ টায় আরও একজনের মৃত্যু ঘটেছে বলে হাসপাতাল সূত্র নিশ্চিত করেছে। এছাড়া সকাল সোয়া ৯টার দিকে ডোবার পানিতে কচুরিপানার নিচে লুকিয়ে থাকা আরেক ডাকাতকে জনতা আটক করে পিটুনি দেয়। তাকেও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে জানান, হতাহতরা সবাই ‘তালা ভাঙ্গা জলিল গ্রুপে’র সদস্য। তারা বাসা-বাড়ির তালা ভেঙ্গে, গ্রিল কেটে ডাকাতি করে থাকে।
তবে এ ব্যাপারে কথিত ডাকাতদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২ জনের কোনও বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
এদিকে ঘটনাস্থল থেকে কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইয়্যুবুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, এলাকায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি পাঁচজনের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশ সময় : ১০১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১০