ঢাকা, শুক্রবার, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৩ জুন ২০২৫, ১৬ জিলহজ ১৪৪৬

জাতীয়

উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় মোদীকে ড. ইউনূসের শোকবার্তা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:৩১, জুন ১২, ২০২৫
উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় মোদীকে ড. ইউনূসের শোকবার্তা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী/ ফাইল ফটো

ঢাকা: ভারতের আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে শোকবার্তা পাঠিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) এ শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন।



ওই শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আহমেদাবাদে ২৪২ জন যাত্রী বহনকারী এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারের মর্মান্তিক দুর্ঘটনা শুনে আমি মর্মাহত। এই মর্মান্তিক ঘটনায় যেসব পরিবার তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন তাদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।

শোকবার্তায় তিনি আরও বলেন, আমরা সবাই শোকাহত মানুষ এবং তাদের পরিবারের জন্য প্রার্থনায় যোগদান করি। এই সময়ে আমরা ভারতের সরকার ও জনগণের সাথে সংহতি প্রকাশ করছি।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে এয়ার ইন্ডিয়ার ১৭১ নম্বরের উড়োজাহাজটি আজ দুপুর ১টা ১০ মিনিটে আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে ওড়ে। ব্রিটেনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরে উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল সেটি। ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই লোকালয়ের মাঝে উড়োজাহাজটি ভেঙে পড়ে। দূর থেকে আগুন এবং কালো ধোঁয়া দেখা যায়। ভেঙে পড়ার পর উড়োজাহাজে আগুন ধরে যায়।

কী কারণে উড়োজাহাজটি ওড়ার কিছু সময় পরই আছড়ে পড়ে বিধ্বস্ত হলো, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহন নিয়ন্ত্রক সংস্থা (ডিজিসিএ) জানিয়েছে, উড়োজাহাজটিতে মোট ২৪২ জন ছিলেন। তাদের মধ্যে ২৩২ জন যাত্রী এবং ১০ জন ক্রু সদস্য।  

দেশটির সংবাদমাধ্যম নিউজ-১৮ জানিয়েছে, ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় ২৪২ আরোহীর সবাই নিহত হয়েছেন।

সরকারি সূত্র বলছে, দুর্ঘটনাকবলিত উড়োজাহাজটি বোয়িং সংস্থার বি-৭৮৭ ড্রিমলাইনার ছিল। ১৬৯ জন ভারতীয় নাগরিক, ৫৩ জন ব্রিটিশ নাগরিক, একজন কানাডিয়ান নাগরিক এবং সাতজন পর্তুগিজ নাগরিক ছিলেন। বিমানের দুই পাইলটের নাম ক্যাপ্টেন সুমিত সবরওয়াল এবং ফার্স্ট অফিসার ক্লাইভ কুন্দর।  

ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহন নিয়ন্ত্রক ডিরেক্টর জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ) জানিয়েছে, উড়োজাহাজটির পাইলট ক্যাপ্টেন সুমিত সাভারওয়াল একজন এলটিসি ছিলেন। তার ৮২শ ঘণ্টা বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা ছিল। কো-পাইলটের ১১শ ঘণ্টা উড়োজাহাজ চালানোর অভিজ্ঞতা ছিল।

এলটিসির অর্থ হলো লাইন ট্রেনিং ক্যাপ্টেন, অর্থাৎ তিনি অন্য পাইলটদের প্রশিক্ষণ দিতেন।

এসকে/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।