ঢাকা: ঈদুল আজহার পরের দিন প্রিয়জনের কাছে যেতে গ্রামের উদ্দেশে ছুটছেন নগরবাসী। পরিবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে তাদের এ ছুটে চলা।
রোববার (০৮ জুন) রাজধানীর গাবতলী বাস কাউন্টারগুলো ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
ঈদের আগের মতোই যাত্রীদের চাপ রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাস কর্তৃপক্ষ। তবে নেই কোনো সিডিউল বিপর্যয়। গাড়ি আসা মাত্রই যাত্রীরা টিকিট নিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে শাহ ফতেহ আলী পরিবহনের ম্যানেজার কামরুল আলম সবুজ বাংলানিউজকে বলেন, ঈদের আগে যে রকম যাত্রীদের চাপ ছিল এখনও কোনো অংশে কম নয়। তবে সড়কে জ্যাম না থাকায় সময়ে আগেই গাড়ি কাউন্টারে চলে আসছে এবং যাত্রী নিয়ে রওয়ানা দিচ্ছে।
অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা যাত্রীদের কাছ থেকে কোনো অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছি না। আমরা বিআরটিএর নির্ধারিত ভাড়া নিচ্ছি।
ঈদের দিন কোরবানি শেষ করে অনেকেই আত্মীয় স্বজনের জন্য মাংস নিয়ে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ ঈদের দিন মাংস সংগ্রহ করে পরিবারের কাছে ছুটছেন।
ঢাকা থেকে বিকেল ৪টার গাড়িতে সিরাজগঞ্জ যাবেন সুমন মিয়া। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, সড়কে যানজট নেই আশা করি নির্ধারিত সময়ে বাড়ি পৌঁছে যাব। প্রতি বছরই আমরা ঈদের পরের দিন বাড়িতে যাই স্বজনদের কোরবানির মাংস পৌঁছে দিতে।
পরিবারের সদস্যদের আগেই বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছি, আজ বাড়ি যাব আশা করি সরকারি ছুটির যে কয়দিন বন্ধ আছে আমিও সে কয়দিন অবস্থান করে ফিরবো বলে জানান মানিকগঞ্জের ইসমাইল হোসেন।
তিনি বলেন, ঈদের দিন আমার প্রতিষ্ঠানের মালিকের বাসায় কোরবানির ঝামেলা থাকে তাই আজ বাড়ি যাচ্ছি।
ঢাকা থেকে কুষ্টিয়া যাবেন মোকলেছুর রহমান। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, গত বছর টিকিট কিনতে হয়েছিল বেশি দামে। এ বছর বিআরটিএর নির্ধারিত দামেই টিকিট কিনলাম। আশা করছি, ঠিক সময়ে বাড়ি পৌঁছে যাবো।
রোববারও পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে শুধু বাস নয়, ব্যক্তিগত গাড়ি ও প্রচুর মোটরসাইকেল আরোহীকে সকাল থেকেই ঢাকা ছাড়তে দেখা গেছে।
এসএমএকে/আরআইএস