ঢাকা, শনিবার, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০৭ জুন ২০২৫, ১০ জিলহজ ১৪৪৬

জাতীয়

গুমের ঘটনায় ‘মেইন কিলার ফোর্স’ ছিল র‌্যাবের গোয়েন্দা উইং

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:১৬, জুন ৪, ২০২৫
গুমের ঘটনায় ‘মেইন কিলার ফোর্স’ ছিল র‌্যাবের গোয়েন্দা উইং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন | ছবি: পিআইডি

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ আমলে হওয়া গুমের ঘটনায় র‌্যাবের গোয়েন্দা সংস্থা সবচেয়ে বেশি জড়িত ছিল বলে গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের তথ্যে উঠেছে এসেছে।

বুধবার (০৪ জুন) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম গণমাধ্যমকে এ কথা জানান।

প্রেস সচিব বলেন, ‘গুম হয়েছে যারা, তার মেইন কালপ্রিট, মানে কিলার ফোর্স... এটা হচ্ছে র‌্যাবের ইন্টেলিজেন্স উইং। তারা এ কাজটায় সবচেয়ে বেশি ইনভলবড ছিল। ’

শফিকুল আলম বলেন, গুমের ঘটনায় জড়িত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সরকারি পুরস্কার, পদক, পোস্টিংয়ের জন্য এসব করতেন বলে গুমসংক্রান্ত কমিশনের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। তবে কেউ কেউ এ ধরনের কাজের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। গণভবন থেকে পাওয়া দুটি চিঠি থেকে এমন তথ্য জানা গেছে।

বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের কাছ থেকে দ্বিতীয় ইন্টেরিম রিপোর্ট গ্রহণ করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। কমিশন প্রধান বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে কমিশনের সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দেন।

এ সময় গুম তদন্ত কমিশনের সদস্যদের মধ্যে নূর খান, সাজ্জাদ হোসেন এবং নাবিলা ইদ্রিস উপস্থিত ছিলেন। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান ও প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া।

গুমের ঘটনা নিয়ে ’হরর মিউজিয়াম’ করার পরামর্শ দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘কী ভয়াবহ একেকটি ঘটনা! আমাদের সমাজের “ভদ্রলোকেরা”, আমাদেরই আত্মীয়-পরিজনরা এই ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে। আপনারা যা যা কিছু পেয়েছেন তার ভিত্তিতে একটি হরর মিউজিয়াম হওয়া উচিত। ’

কমিশনের সদস্যরা জানান, কমিশনের কাছে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৮৫০টি অভিযোগ এসেছে এবং তারমধ্যে ১ হাজার ৩৫০টি অভিযোগ যাচাই বাছাই শেষ হয়েছে। অভিযোগের সংখ্যা সাড়ে তিন হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। গুমের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে এখনো তিন শতাধিক ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছেন বলেও জানান তারা।

এমইউএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।