ঢাকা, বুধবার, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২৮ মে ২০২৫, ০০ জিলহজ ১৪৪৬

জাতীয়

নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা দেবে কানাডা

ডিপ্লোম্যাটিক  করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২:৩৫, মে ২৭, ২০২৫
নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা দেবে কানাডা

ঢাকা: বাংলাদেশের নারী অধিকার সংগঠনগুলোকে সহযোগিতা দেবে কানাডা। এ লক্ষ্যে ‘রিনিউড উইমেনস ভয়েস অ্যান্ড লিডারশিপ’-শীর্ষক প্রকল্প উদ্বোধন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ মে) ঢাকার কানাডার হাইকমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের (এমজেএফ) ‘রিনিউড উইমেনস ভয়েস অ্যান্ড লিডারশিপ ইন বাংলাদেশ’ প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে কানাডার হাইকমিশন এ প্রকল্পের জন্য ৯.৭ মিলিয়ন কানাডিয়ান ডলার (সিএডি) অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এ অর্থায়নের ঘোষণা দেওয়া হয় ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে। নারীর ভয়েস অ্যান্ড লিডারশিপ প্রকল্পের সাফল্যের ওপর ভিত্তি করে এ নতুন উদ্যোগটি আরও বেশি নারী অধিকার সংগঠনকে শক্তিশালী করবে। এ গুরুত্বপূর্ণ সময়ে জাতীয় আলোচনায় নারী এবং প্রান্তিক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতৃত্বে সংগঠনগুলোর ভূমিকা জোরদার করবে।

কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিং অনুষ্ঠানে জোর দিয়ে বলেন, লিঙ্গ সমতা বৃদ্ধি, নারী ও মেয়েদের ক্ষমতায়ন এবং বাংলাদেশে আমাদের আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের অঙ্গীকারের মূল উপাদান হিসেবে কানাডা এ উদ্যোগকে গর্বের সঙ্গে সমর্থন করে।

প্রকল্প উদ্বোধনের সময় এমজেএফের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম তার স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশে নারীর কণ্ঠস্বর এবং নেতৃত্ব বিকাশের জন্য গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।  

তিনি জোর দিয়ে বলেন যে লিঙ্গ সমতা কেবল নারীর বিষয় নয় বরং মানবাধিকার, ন্যায়বিচার এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিত করার একটি পথ। এটি অর্জনের জন্য, সব অংশীদারদের সহযোগিতা এবং সংহতির সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন এস. মুরশিদ বলেন, এমজেএফ যেভাবে কাজ করে, নারীর ক্ষমতায়নের জন্য আমাদের তৃণমূল পর্যায়ের সংস্থাগুলোকে সমর্থন করা উচিত এবং আমাদের এমন একটি নীতি থাকা উচিত, যেখানে সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থা উভয়ই জাতীয় অগ্রাধিকার অর্জনের জন্য একসঙ্গে সমন্বয় করে।

এমজেএফ আয়োজিত প্রকল্প উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে কানাডার হাইকমিশন এবং এমজেএফের সঙ্গে নারী অধিকার সংগঠন, নারী নেটওয়ার্ক এবং প্রান্তিক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সহ ৫০টিরও বেশি সংস্থার প্রতিনিধিরা যোগ দেন।

টি আর/এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।