ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

জন্মনিবন্ধন দিবস আজ: বিনামূল্যে নিবন্ধনের সময় বাড়লো ১ বছর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫০৪ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০১০

ঢাকা: বিনামূল্যে জন্ম নিবন্ধন প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানো হয়েছে।

দেশের শতভাগ নাগরিক এ কর্মসূচির আওতায় না আসায় আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ১৮ বছরের নিচের বয়সীদের জন্য সময় বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।



শনিবার জন্ম নিবন্ধন দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্থানীয় সরকার বিভাগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে পাশ কাটিয়ে কোনো সামাজিক কার্যক্রমে শতভাগ সাফল্য পাওয়া সম্ভব নয়। ’ এক্ষেত্রে সামাজিক সচেতনতার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এ কাজে সম্পৃক্ত করা প্রয়োজন, এতে জাতীয় জাগরণ তৈরি হয়। ’

দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘জন্ম সনদ একটি অধিকার, বাস্তবায়নের দায়িত্ব সবার’।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মনজুর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান এবং জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন প্রকল্পের পরিচালক আ ক ম সাইফুল ইসলাম চৌধুরী।     

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এখন থেকে আগামী এক বছর ৫০ টাকা দিয়ে ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের জন্ম নিবন্ধন করতে হবে। তবে ১৮ বছরের কম বয়সীদের জন্য বিনামূল্যে নিবন্ধনের সুযোগ বহাল থাকবে।

জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন প্রকল্পের পরিচালক আ ক ম সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন ২০০৪-এর আওতায় একজন মানুষের নাম, লিঙ্গ, জন্মের তারিখ, স্থান, বাবা-মায়ের নাম, তাদের জাতীয়তা, স্থায়ী ঠিকানা নির্ধারিত নিবন্ধন খাতায় অন্তর্ভুক্ত করে জন্ম সনদ নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়। পাশাপাশি মৃত ব্যক্তির ক্ষেত্রে নাম, মৃত্যুর তারিখ, বাবা-মা বা অভিভাবকের নাম খাতায় লিখে সনদ দেওয়া হয়। ’

তিনি বলেন, ‘৩১ ডিসেম্বর ২০০৮-এর পর থেকে সরকারের ১৬টি সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে জন্ম সনদ দেখানোর নিয়ম করা হয়েছে। এছাড়া মৃত ব্যক্তির সম্পদ বণ্টন, পারিবারিক পেনশন প্রাপ্তি প্রভৃতি কাজের জন্য জন্ম নিবন্ধন প্রয়োজন। ’

অন্য সেবাগুলো হচ্ছে পাসপোর্ট ইস্যু, বিবাহ নিবন্ধন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি, সরকারি-বেসরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থায় নিয়োগদান, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু, ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি, জমি রেজিস্ট্রেশন, ব্যাংক হিসাব খোলা, আমদানি-রফতানি-ট্রেড লাইসেন্স প্রাপ্তি, গ্যাস, পানি-টেলিফোনসহ বিদ্যুৎ সংযোগ প্রাপ্তি, ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (টিআইএন) প্রাপ্তি, ঠিকাদারির লাইসেন্স প্রাপ্তি, বাড়ির নকশার অনুমোদন প্রাপ্তি, গাড়ির রেজিস্ট্রেশন ও জাতীয় পরিচয়পত্র প্রাপ্তি।

বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান বলেন, ‘জন্ম নিবন্ধনে শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব। কারণ বাঙালিরা সব পারে। ’

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০০৫ সালে দেশব্যাপী শুরু হয় জন্ম নিবন্ধনের কাজ। নিবন্ধন কাজ শেষ করতে এর আগে দুই দফা সময় বাড়ানো হলেও দেশের শতভাগ মানুষকে এর আওতায় আনা সম্ভব হয়নি।

চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত নিবন্ধিত হয়েছে ১৩ কোটি ৮৪ লাখ ৩১ হাজার ২৭৭ জন মানুষ, যা মোট জনসংখ্যার ৯৫ দশমিক ৮০ শতাংশ।

ঢাকা ও চট্টগ্রামে নিবন্ধনের হার সবচেয়ে কম। এ দু’টি শহরে প্রায় দুই কোটি মানুষের বাস হলেও নিবন্ধনের আওতায় এসেছে মাত্র ১০ শতাংশ মানুষ। নিবন্ধনের ক্ষেত্রে শতভাগ অন্তর্ভুক্তির আওতায় এসেছে ৩৬ জেলা।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১২৪৫ ঘণ্টা, ৩ জুলাই ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।