চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (সিসিসি)-এ যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের হামলা ও মেয়র এম মঞ্জুর আলমকে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনায় নিন্দা জানানো নিয়ে কাউন্সিলররা দু’ ভাগ হয়ে পড়েছেন।
বুধবার এ ঘটনাকে দুঃখজনক ও অনভিপ্রেত বলে উল্লেখ করে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি সংবলিত বিবৃতিতে কাউন্সিলরদের এক দল স্বাক্ষর করলেও অন্য দল স্বাক্ষর করেননি।
সিসিসি’র ৫৫ কাউন্সিলরের মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থক দু’ প্যানেল মেয়রসহ ৪৭ জন কাউন্সিলর স্বাক্ষর করেন। তবে আওয়ামী লীগ সমর্থক অন্য এক প্যানেল মেয়রসহ বাকি কাউন্সিলররা বিবৃতিতে স্বার করেননি।
এরা সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়।
একাধিক কাউন্সিলর সূত্রে জানা গেছে, করপোরেশনের তিন নম্বর প্যানেল মেয়র ও আওয়ামী লীগ সমর্থক কাউন্সিলর চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী মঙ্গলবারের ঘটনায় কাউন্সিলরদের বিবৃতি দেওয়ার উদ্যোগ নেন।
তবে দিনভর চেষ্টা চালিয়ে তিনি ৪৭ জন কাউন্সিলরকে এ ব্যাপারে সম্মত করাতে সম হন।
প্যানেল মেয়র হাসনী চট্টগ্রামে মহিউদ্দিনবিরোধী এবং ছাত্রলীগের সাবেক প্রভাবশালী নেতা আ জ ম নাছিরউদ্দিনের অনুসারী। এ কারণে তার উদ্যোগে সাড়া দেননি মহিউদ্দিন অনুসারী কাউন্সিলররা।
বিবৃতিতে স্বার না করার কথা স্বীকার করে কাউন্সিলর জহরলাল হাজারী বাংলানিউজকে বলেন, ‘কর্পোরেশনে যে ঘটনা ঘটেছে সেটা দুঃখজনক। তবে এ ঘটনার মূল্যায়ন নিয়ে আমাদের মধ্যে ভিন্নমত আছে। এ মুহূর্তে আমরা বিবৃতি দিয়ে নিজ দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে একমত নই। ’
এ প্রসঙ্গে প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী বলেন, ‘বিবৃতিতে স্বাক্ষর না করে কয়েকজন কাউন্সিলর সঠিক কাজ করেননি। যেসব কাউন্সিলররা স্বার দেননি তারা যদি কোনও দিন মেয়রের চেয়ারে বসেন, তখন যদি এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটে তাহলে প্রতিবাদ করবেন কারা?’
উল্লেখ্য, অবৈধ বিল বোর্ড উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার বিকেলে সিটি করপোরেশনে তাণ্ডব চালায় বিভিন্ন বিজ্ঞাপনী সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এদের অধিকাংশই যুবলীগ-ছাত্রলীগ’র নেতা-কর্মী বলে সূত্র জানায়।
তাণ্ডবকারীররা মেয়র এম মনজুর আলমকে বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে দু’ঘণ্টা নিজ কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১০