ঢাকা: আসন্ন ঈদুল আজহাকে দেশজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে সরকার। কোরেবানির পশুর হাট এবং পশুর ক্রেতা-বিক্রেতার নিরাপত্তার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হবে।
বুধবার র্যাব সদরদপ্তরে র্যাব কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে ঈদুল আজহার নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে একথা জানান আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার।
আইজিপি বলেন, ঈদের আগে, ঈদের দিন ও ঈদের পরদিন, এই তিন ভাগে নিরাপত্তা নেওয়া হবে। এই নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিচালনার অংশ হিসেবে গোয়েন্দা কার্যক্রম এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, গরুর হাটগুলোতে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। রাস্তায় প্রতিবন্ধকতার কারণে হাটগুলোতে গাড়ি আসাতে যেন কোনো সমস্যা না হয় সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া হবে।
হাসান মাহমুদ বলেন, ‘বিক্রেতারা যে হাটে তাদের পশু বিক্রি করতে চান সে হাটেই যেন বিক্রি করতে পারেন এবং টাকা নিয়ে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারেন তার নিশ্চয়তা আমরা দিতে চাই। এর আগের ঈদেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছে। ’
ঈদের দিন পশুর চামড়া যেন ব্যবসায়ীরা সঠিকভাবে সংগ্রহ করতে পারেন এবং চামড়া ব্যবসাকে কেন্দ্র করে যেন কোনো ঝামেলার সৃষ্টি না হয় তাও নিশ্চিত করা হবে বলে জানান আইজিপি।
তিনি আরও জানিয়েছেন, ঈদে ঘরমুখী মানুষ যেন ঝামেলা ছাড়া বাড়ি ফিরতে পারে সেটাও নিশ্চিত করা হবে। ঈদের ছুটিতে ফাঁকা নগরগুলোতে চুরি-ডাকাতি রোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো সতর্ক থাকবে।
ঈদের সময় রাজনৈতিক দলের সদস্যদের চাঁদাবাজি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঈদে চাঁদাবাজি বন্ধে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা অপরাধীকে অপরাধী হিসেবেই দেখবে।
ইভটিজারদের প্রতিরোধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে আজিপি বলেন, ইভটিজাররা শুধু বখাটে নয়, এরা বড় ধরনের অপরাধী। আমরা তাদের আইনের আওতায় আনতে সচেষ্ট রয়েছি। শুধু তাই নয় ইভটিজিং প্রতিরোধে সম্প্রতি চট্টগ্রামে একটি কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে তা বেশ ইতিবাচক ফল দিয়েছে।
বিএনপির কার্যালয় ঘেরাও করা সম্পর্কে তিনি বলেন, কোনো কার্যালয় ঘেরাও করা হয়নি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা ছিল মহাসড়ক ও সড়কে। এটা ছিল স্বাভাবিক কার্যক্রম। তাছাড়া ৩ নভেম্বর গুরুত্বপূর্ণ দিন থাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১০