ঢাকা : বাংলাদেশে আন্ডারগ্রাউন্ড কোল গ্যাসিফিকেশন (ইউসিজি) ও কোল বেড মিথেন (সিবিএম) পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চাইছে অস্ট্রেলিয়া ভিত্তিক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান মিচেল গ্রুপ।
বুধবার বিকেলে বিদ্যুৎ বিভাগে মিচেল গ্রুপের প্রতিনিধিরা কীভাবে এ দুই পদ্ধতিতে খনিতে থাকা কয়লাকে গ্যাসে রূপান্তরিত করে তা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়, সে ব্যাপারে একটি পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, জ্বালানি সচিব মেজবাহউদ্দিন, বিদ্যুৎ সচিব আবুল কালাম আজাদ ও বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী ইউসিজি পদ্ধতি ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে। আজ (বুধবার) একটি কোম্পানি বাংলাদেশের কয়লা খনিতে এ পদ্ধতি প্রয়োগ করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করার আগ্রহ দেখিয়েছে। ’
তিনি বলেন, ‘এটা টেকনিক্যাল বিষয়। তাই আমরা এ বিষয়ে পেট্রোবাংলার সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। ’
বৈঠকে উপস্থিত বিদ্যুৎ বিভাগের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, মিচেল গ্রুপের প্রতিনিধিরা খনির ভেতরে থাকা কয়লা উত্তোলন না করে ওই কয়লাকে গ্যাসে রূপান্তরিত করে তা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করার বিষয়ে আগ্রহ দেখায়। এ পদ্ধতিতে বাংলাদেশের জামালগঞ্জ ও বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি এলাকার কিছু কিছু অংশে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে।
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, তারা বাংলাদেশে ইউসিজি ও সিবিএম পদ্ধতিতে প্রথমে পরীক্ষমূলকভাবে ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চায়। পরে পর্যায়ক্রমে ২০১৫ সাল নাগাদ ৪ শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করার কথা জানায়।
ইউসিজি পদ্ধতি হচ্ছে, ভূ-গর্ভে থাকা কয়লার স্তরকে অক্সিজেন ও স্টিম (বাষ্প) দিয়ে নিয়ন্ত্রিতভাবে পোড়ানো হয়। এর ফলে ভেতরে যে গ্যাসটা হয়, তা তুলে বিদ্যুৎ কেন্দ্র বা পাইপলাইনে সরবরাহ করা হবে।
এছাড়াও বিশ্বে সিবিএম নামে আরও একটি পদ্ধতিতে কয়লা ক্ষেত্র থেকে গ্যাস উত্তোলন করা হয়। এ পদ্ধতিতে খনির কয়লা না পুড়িয়ে খনির ভেতরে থাকা মিথেন গ্যাসকে বের করে আনা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৭, নভেম্বর ০৩, ২০১০