জামালপুর: জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলেও যমুনার তীরবর্তী এলাকায় শুরু হয়েছে ব্যাপক নদীভাঙন।
শনিবার সকালে বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে যমুনার পানি বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার নিচে নেমে আসে।
পানি কমলেও জেলার ইসলামপুর উপজেলার পাথর্শী, কুলকান্দি, বেলগাছা, সাপধরী ও নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকায় শুরু হয়েছে তীব্র নদীভাঙন।
সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, যমুনা তীরবর্তী পাথর্র্শী ইউনিয়নের খানপাড়া, শশারিয়াবাড়ি, মাঝিপাড়া, কুলকান্দি ইউনিয়নের মিয়াপাড়া ও আটিয়াবাড়ি এলাকায়ও ভয়াবহ নদীভাঙন শুরু হয়েছে।
কুলকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দুলাল বিএসসি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ভাঙনে পাঁচটি ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক ভিটেবাড়ি ছাড়াও বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
বাড়িঘর থেকে পুরোপুরি পানি না নামায় বাঁধে আশ্রয় নেওয়া বন্যাদুর্গতরা বাড়িতে ফিরতে পারেননি। কাজ, খাবার ও পানীয় জলের অভাবে দুর্ভোগে পড়েছেন বন্যা ও নদীভাঙনকবলিত মানুষ।
শনিবার সকালে জামালপুরের জেলা প্রশাসক সিরাজ উদ্দিন আহমেদ ভাঙনের ভয়াবহতার কথা স্বীকার করে বলেন, দুর্গতদের জন্য প্রথম দফায় ২৫ মে. টন চাল এবং ৫০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়। দ্বিতীয় দফায় ২০ মে. টন চাল ও ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১২৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০১০