ঢাকা, শুক্রবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৭ মে ২০২৪, ০৮ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

আদালত অবমাননা: সাজেদা চৌধুরীর বিষয়ে আদেশ ১৩ নভেম্বর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০১২
আদালত অবমাননা: সাজেদা চৌধুরীর বিষয়ে আদেশ ১৩ নভেম্বর

ঢাকা: আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে ট্রাইব্যুনালে করা আবেদন বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ১৩ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবিরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে আদালত অবমাননার এ অভিযোগের বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।



শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল আদেশের জন্য ওই দিন ধার্য করেন। আবেদনের পক্ষে জামায়াতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম অপরদিকে আবেদনের বিপক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী আব্দুল বাসেত মজুমদার।

শুনানিতে তাজুল ইসলাম আবেদনের পক্ষে বলেন উনি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, একইসঙ্গে তিনি সংসদের একজন আইন প্রণেতাও। তিনি কি করে বিচারিক বিষয়ে এমন মন্তব্য করেন। এমন মন্তব্য করার কারণে তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া যায়।

তাজুল ইসলাম বলেন,  এই মন্তব্য করার কারণে তিনি জনগণকে প্রভাবিত করেতে পারেন। বিচার নিয়ে জনগণের মনে বিরোপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।

আবেদনের বিরোধীতা করে সাজেদা চৌধুরীর আইনজীবী আব্দুল বাসেত মজুমদার বলেন, তিনি যে মন্তব্য করেছেন তা পাবলিকের অপিনিয়ন প্রকাশ করেছেন মাত্র। তার বক্তব্যে বিচার, বিচারক ও সাক্ষীদের বিষয়ে কোন কিছু বলা হয়নি।

প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচারের লক্ষ্যে গঠিত ট্রাইব্যুনালের বিচারিক বিষয়ে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মন্তব্যের পরে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে আবেদনটি করেন আব্দুল কাদের মোল্লার পক্ষে তার আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক।

যুদ্ধাপরাধ বিচার দ্রুত ত্বরান্বিত করার আহবান জানিয়ে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর “দুয়েকটাকে ঝুলিয়ে দিলে ওদের আইন কপচানী বন্ধ হবে” শীর্ষক বক্তব্যের কারণে আসামি পক্ষের প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক গত ৫ আগস্ট রোববার তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ দায়ের করেন ট্রাইব্যুনাল-২এ।   পরে এ বিষয়ে গত ২৭  আগস্ট শুনানি হয়।

এর আগে গত ২৭ জুলাই ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২৯ তম  প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।
এ অনুষ্ঠানে যুদ্ধাপরাধ বিচার দ্রুত শেষ করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, “রাজাকাররা আইন মেনে একাত্তরে নির্যাতন করেনি। কাজেই এত আইন দেখলে  হবেনা। বসে বসে আইন কপচালে হবেনা। আগেই দুয়েকটাকে ঝুলিয়ে দিলে ওদের আইন কপচানি বন্ধ হবে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে আর প্রহসন নয়। রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে দ্রুত এ বিচার শেষ করতে হবে। ”

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, ০৭ নভেম্বর, ২০১২
জেপি/সম্পাদনা: নূরনবী সিদ্দিক সুইন, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।