ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

আজমিরীগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় আটক ৩০

জিয়াউদ্দিন দুলাল, জেলা প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০১০

হবিগঞ্জ : বিরোধপূর্ণ জমির দখল নিয়ে হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শিবপাশা গ্রামে সোমবার সকালে দু’পরে সংঘর্ষের ঘটনায় কমপক্ষে ৩০ জনকে আটক করা হয়েছে।

পুলিশ শিবপাশা যশোকেশরী বড়হাটি মোল্লাবাড়ি মসজিদের মোয়াজ্জিমের কক্ষ থেকে বন্দুকসহ আলী হায়দার এবং শিবপাশা বাজারসহ বিভিন্ন স্থান থেকে শামসুল আলম, ইদুল মিয়া, ময়না মিয়াসহ তাদের আটক করে।



সহকারী পুলিশ সুপার (উত্তর) এএসএম সিরাজুল হুদা, আজমিরীগঞ্জ থানার অফিসার ইন চার্জ এনামুল হক ও শিবপাশা পুলিশ ফাঁড়ির তদন্ত কর্মকর্তা নূরুন্নবীর নেতৃত্বে সোমবার বিকেল তিনটা থেকে ওই আটক অভিযান চলছে।

সোমবার সকালে ওই সংঘর্ষে একজন নিহত ও কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়।

নিহতের নাম আব্দুল মোতাব্বির (৪০)।   মোতাব্বির প্রতিপক্ষের গুলিতে মারা যান।

গুরুতর আহত গুলিবিদ্ধ আব্দুস শহীদকে (৫০) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গুলিবিদ্ধ আরও ১০ জনসহ আহত ২০ জনকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আজমিরীগঞ্জ থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) এনামুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে কেবি ওয়াকফ এস্টেট ও ভূমিহীনদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পুলিশ ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, জেলা প্রশাসনের প থেকে গত ৫/৬ বছর আগে আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শিবপাশা এলাকার জাফরু মিয়া ওরফে জাফুসহ ১০/১৫ জন ভূমিহীনকে সরকারি জমি বন্দোবস্ত দেওয়া হয়।

অন্যদিকে খান বাহাদুর (কে বি) ওয়াকফ্ এস্টেট নামে অপর একটি প্রতিষ্ঠানকে ওই ভূমি লিজ দেয় সিলেট বিভাগীয় কমিশনার।

এ নিয়ে কে বি ওয়াক্ফ এস্টেট ও ভূমিহীনদের মধ্যে গত ৫/৬ বছর ধরেই বিরোধ চলে আসছে।

ঘটনার আগের দিন রোববার বিকালে শিবপাশা ফাঁড়ির তদন্ত কর্মকর্তা নুরুন্নবী দু’পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে আগামী মঙ্গলবার উভয়পকে কাগজপত্র নিয়ে ফাঁড়িতে হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়।

তবে সোমবার সকাল ৯ টায় জাফরু মিয়া পক্ষের লোকজন বিরোধপূর্ণ জমিতে গেলে কে বি ওয়াকফ্ এস্টেট পরে লুৎফুর রহমান ও আলী হায়দার তাদের বাধা দেন। এ নিয়ে উভয়প সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

সংঘর্ষে কেবি ওয়াকফ এস্টেট’র লোকজন বন্দুক দিয়ে গুলি ছুঁড়ে বলে অভিযোগ করেন ভূমিহীনরা।

উভয়প বলম ও টেটাসহ দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে। ২ ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে মোতাব্বির মিয়াসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়।

গুলিবিদ্ধ মোতাব্বির মিয়াকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

দুপুর ১টা পর্যন্ত হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তিকৃতরা হচ্ছেন- হারুন (৩০), নাজিম (২২), দিলু (৩৫), দুলু (৪০), ওয়াদুদ (৩০), নূর (২৫), সামায়ুন (৩০), মোবাশ্বির (২০), দুদু (৫৫), মিলন (২০), মোশাররফ (৪০), আঙ্গুরা (৩০), লাক মিয়া (৪০), রিয়াসিন (২৫), আজমল (২৫)।

গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।