ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

পার্বত্য চট্রগ্রামে আগে ভূমি বিরোধের নিষ্পত্তি হবে : ইনু

স্টাফকরেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০১০

ঢাকা :  পার্বত্য চট্রগ্রামের ভূমি সমস্যা সমাধানে প্রথাগত ভূমি ব্যবস্থা নিয়ে যে বিরোধ রয়েছে তার নিষ্পত্তি হওয়ার পর ভূমি জরিপ হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু।

সোমবার জাতীয় প্রেসকাবে পার্বত্য চট্রগ্রাম বন ও ভূমি অধিকার সংরক্ষন আন্দেলন ও খাগড়াছড়ি জেলা হেডম্যান অ্যাসোসিয়েশনের আয়েজিত ‘প্রথাগত ভূমি অধিকার,পার্বত্য চট্রগ্রাম চুক্তি ও আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা জানান তিনি।



তিনি বলেন, ‘পার্বত্য চট্রগ্রামে আদিবাসীদের মধ্যে প্রথাগতভাবে যে সমষ্টিগত মালিকানা চালু আছে ভূমি কমিশনকে তা মেনে নিয়ে ভূমি ব্যাবস্থাপনা গ্রহণ করতে হবে। ’

পাহাড়ি ও বাঙ্গালীদের মধ্যে ভূমি বণ্টন নিয়ে যে টানাপড়েন রয়েছে তা দ্রুত সমাধানের কার্যকারী উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে পঞ্চম সংশোধনীর রায়কে একটি অন্যতম সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করে  পার্বত্য চট্রগ্রামের আদিবাসীদের অধিকার রক্ষার্থে সংসদীয় কমিটি অবশ্যই কাজ করবে বলে জনান তিনি।

পারস্পারিক নিরাপত্তাহীনতা ও আস্থাহীনতাকে প্রধান সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করে এ সমস্যা সমাধানে পার্বত্য চট্রগ্রাম শান্তি চুক্তির যথাযথ বাস্তবায়নের ওপর তিনি জোর দেন।

সভায় পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক আন্তর্জাতিক কমিশনের সদস্য ড. স্বপন আদনান বলেন, ‘বর্তমানে পার্বত্য চট্রগ্রামে চুক্তিকে পাশ কাটিয়ে এবং চুক্তি বিরোধী যে সব কর্মকাণ্ড চলছে, তাতে সেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠা কখনোই সম্ভব নয়। ’

তিনি গণতন্ত্রায়ন, নাগরিক অধিকার রক্ষা, স্বায়ত্বশাসন প্রতিষ্ঠা ও বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন ঘটিয়ে পার্বত্য চট্রগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে সরকারের প্রতি আহবান জানান।

সভায় উপস্থিত আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী ব্যারিস্টার সারাহ হোসেন প্রথাগত সামাজিক সমস্যাগুলো প্রচলিত আইনের মাধ্যমে সমাধান নয় বলে এর জন্য নতুন আইন তৈরির কথা বলেন।

সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পার্বত্য চট্রগ্রাম জনসংহতি সমিতির তথ্য ও প্রচার সম্পাদক মঙ্গল কুমার চাকমা। মূল প্রবন্ধে আলোচ্য বিষয়সমূহের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর স্বকীয়তা ও প্রথাগত অধিকারসমূহের সাংবিধানিক স্বীকৃতি, পার্বত্য চট্রগ্রাম চুক্তির যথাযথ বাস্তবায়ন ও আদিবাসীদের অধিকার রক্ষায় সাংবিধানিকভাবে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানানো হয়।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আদিবাসী অধিকার আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মেসবাহ্ কামালসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

বাংলাদেশ সময় : ১৫৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।