হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জালাল উদ্দিন আহমেদ ঠাণ্ডা মিয়াকে (৬০) রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হলেও বিউগল বাজতে দেয়নি বাহুবল কাছিমুল উলুম টাইটেল মাদ্রাসার শিক্ষকরা।
স্থানীয় অধিবাসী ও মুক্তিযোদ্ধারা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
দেরিতে পাওয়া খবরে জানা যায়, শনিবার রাত ১০টায় বাহুবল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ঠাণ্ডা মিয়া হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাহুবলের নিজ বাড়িতে মারা যান। রোববার বিকেলে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করার জন্য বাহুবল কাছিমুল উলুম টাইটেল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে নিহতের মরদেহ রাখা হয়। মাদ্রাসা মাঠে জানাযা শেষে বাহুবল থানা পুলিশ সশস্ত্র সালাম দেয়। সশস্ত্র সালাম শেষে পুলিশ বিউগল বাজাতে চাইলে মাদ্রাসা শিক্ষকরা এতে বাধা দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী পাঠান, নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনামনি চাকমা, বাহুবল উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল কাদির, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা রফিক।
নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিউগল বাজাতে বাধা দেওয়ার কথা অস্বীকার করে বাংলানিউজকে জানান, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ঠাণ্ডা মিয়াকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডার অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী পাঠান জানান, মাদ্রাসা শিক্ষকরা পুলিশকে বিউগল বাজাতে দেয়নি। এতে মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আমরা অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তাতে এতে দ্বিমত করিনি।
বাংলাদেশ সময় : ২২৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১০