ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় আলেম সমাজের সহযোগিতা প্রয়োজন’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১০

ঢাকা: আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, যারা ধর্মকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে তারাই দেশে জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তাদের ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় আলেম সমাজের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন।



রোববার রাজধানীর গাউছুল আজম কমপ্লেক্সে বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
 
অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আলেম সমাজের সমর্থন ছিল বলেই গত জাতীয় নির্বাচনে ভোট বিপ্লব সম্ভব হয়েছিল। এ কারণে মাদ্রাসার শিক্ষক এবং আলেম সমাজের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। ’

এ কৃতজ্ঞতা থেকেই বর্তমান সরকার আলিয়া মাদ্রাসা শিক্ষার আধুনিকায়নে ব্যাপক পরিকল্পনা নিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা কওমি মাদ্রাসা শিক্ষারও বিরোধী নই। ইসলামের নামে যারা ভণ্ডামি করছে আমরা তাদের বিরুদ্ধে। তাদের ছিটেফোঁটা কিছু বক্তব্য ও কর্মকাণ্ড সরকারের সব ভালো কাজকে পিছিয়ে দিচ্ছে। ’

ধর্মপ্রাণ মানুষের কল্যাণে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা স্মরণ করে অ্যাডভোকেট কামরুল বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি একজন খাঁটি মুসলমান ছিলেন। এ কারণে তিনি রেসকোর্স ময়দান থেকে অনৈসলামিক ‘ঘোড়দৌড়’ প্রতিযোগিতা চিরতরে বন্ধ করে দেন। ’

‘তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমার ময়দান নির্ধারণ, রমনা উদ্যানে তবলীগ জামায়াতের মসজিদ নির্মাণের স্থানটিও তিনি দিয়েছেন। ’ বলেন প্রতিমন্ত্রী।
 
আইন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এ দেশের হাক্কানি আলেমরা মুক্তিযুদ্ধের পে কাজ করেছিলেন। আমার সঙ্গে অনেক মাদ্রাসা ছাত্র মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। একাত্তরের পাক হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যাকে ‘জায়েজ’ করার জন্য একটি বিবৃতিতে আলেম সমাজের স্বার সংগ্রহ করা হয়। ’

এ বিবৃতিতে ৩ জন বিশিষ্ট আলেম স্বার করেননি জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘তারা হলেন মাওলানা শামছুল হক ফরিদপুরী, মাওলানা আব্দুল ওয়াহ্হাব পীরজী হুজুর এবং আরেকজন হলেন মাওলানা মোহাম্মদ উল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর। তাদের স্বার ছাড়াই পত্রিকায় বিবৃতিটি ছাপা হয়। ’

জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক এএমএম বাহাউদ্দীনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজাল, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতীব মাওলানা সালাহউদ্দিন, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অধ্যাপক ড. রূহুল কুদ্দুস মোহাম্মদ সালেহ, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. আব্দুর রশিদ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ জাকির হোসাইন, মাউশি’র উপ-পরিচালক (বিশেষ) মোহাম্মদ আবুল হোসেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা রূহুল আমীন খান ও ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার অধ্য ড. একেএম ইয়াকুব হোসাইন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ