সাভার: পূর্ণ সচিব মর্যাদার হয়েও যুগ্ম সচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পদে বদলি হওয়ায় ক্ষোভে দুঃখে চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের রেক্টর দেলোয়ার হোসেন।
রোববার সকালে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি ফ্যাক্সযোগে পাঠানো হয় সংস্থাপন সচিব ইকবাল মাহমুদের কাছে।
দুপুরেই তিনি বিপিএটিসির এমডি এস মেজবা উল আলমের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন তিনি।
চিঠি পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে সচিব দেলোয়ার হোসেন জানান, ফ্যাক্সের মাধ্যমে তিনি সিদ্ধান্তের বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, সোমবার বাহক মারফত চিঠিটি পাঠানো হবে।
গত ১৯ অক্টোবর বড় ধরনের রদবদল আর ওএসডির ঘটনা ঘটে জন প্রশাসনে। সচিব পর্যায়ে ওই রদবদলে অতিরিক্ত সচিব পদে যে ১৭ জনকে বদলি করা হয় হয় দেলোয়ার হোসেন ছিলেন তাদেরই একজন।
পূর্ণ সচিব হিসেবে প্রায় চার বছর দায়িত্বরত বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (বিপিএটিসি) রেক্টর দেলোয়ার হোসেনকে যুগ্ম সচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পদ মর্যাদায় ভূমি সংস্থার বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে বদলির পর থেকেই হতাশাগ্রস্ত ছিলেন তিনি।
অথচ মাত্র এক বছর আগেই সচিব হিসেবে ভূমি মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি।
সরকারের শীর্ষ এই কর্মকর্তার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, ওই বদলিকে ‘অপমান ও অমর্যাদাপূর্ণ’ উল্লেখ করে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন দেলোয়ার হোসেন।
সংস্থাপন সচিবের কাছে লেখা ওই চিঠিতে স্বেচ্ছা অবসরে যাওয়ার বিষয়টিকে ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করেন তিনি।
৮১ ব্যাচের কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন জানান, তিনি ১৯৭৪ সালের সরকারি কর্মচারী অবসর বিধিমালা আইনের ৯(১) ধারা অনুযায়ী সরকারি চাকরি থেকে স্বেচ্ছা অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
স্বেচ্ছা অবসরে যাওয়ার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দলবাজী ও তোষামোদীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে কঠোর বলিষ্ঠতা, নিরপেক্ষতা ও জনস্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে বরাবরই জনমুখী প্রশাসন গড়ে তোলার কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখার চেষ্টা করেছি। তাছাড়া প্রকাশ্যেই বিরোধিতা করেছি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের।
আগামী বছরের ১৯ ডিসেম্বর তার স্বাভাবিক অবসরে যাওয়ার কথা। তিনি জানান, নতুনদের সুযোগ করে দিতেই তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
উল্লেখ্য, বর্তমানে প্রশাসনে ওএসডি কর্মকর্তার সংখ্যা প্রায় আড়াইশ’ এবং চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত আছেন ২’শ ৯০ জন। বরারই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বিরোধী ছিলেন দেলোয়ার হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১০