ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

পাসপোর্ট জটিলতা: বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে বসছে সরকার

আনোয়ারুল করিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৫ ঘণ্টা, জুলাই ২, ২০১০

ঢাকা: যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্টের (এমআরপি) বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ও প্রস্তুতি সম্পর্কে শ্রমশক্তি আমদানিকারী দেশগুলোর কূটনীতিকদের অবহিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তরের মহাপরিচালক (এফএমও) জিষ্ণু রায় চৌধুরী বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘রোববার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে বাংলাদেশের পাসপোর্ট দেওয়ার বর্তমান প্রক্রিয়া সম্পর্কে ধারণা দেবেন।



তিনি জানান, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বাংলাদেশের শ্রমিক রপ্তানি হয় এমন বেশ ক’টি দেশ পুরনো পাসপোর্টধারী শ্রমিকদের ভিসা না দেওয়ায় সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছে।

এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্ট ও ভিসা প্রকল্পের বর্তমান অবস্থা জানতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো, অভিবাসন (ইমিগ্রেশন) ও পাসপোর্ট বিভাগের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন বলেও জানান জিষ্ণু রায় চৌধুরী।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ সব শ্রমিকের কাছ থেকে যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্ট দাবি করে ভিসা দেওয়া বন্ধ রেখেছে।

এরই মধ্যে বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে আরব আমিরাত কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি বিবেচনা করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

দেশটিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাজমুল কাওনাইন শুক্রবার টেলিফোনে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘আমি সে দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দু’ধরনের পাসপোর্টই আমলে নিয়ে শ্রমিকদের ভিসা দেওয়ার অনুরোধ করেছি। পুরনো পাসপোর্টগুলোকে দ্রুত যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্টে পরিণত করারও আশ্বাস দিয়েছি। ’

আগামী সোমবার দেশটির ফেডারেল ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের প্রধানের সঙ্গে আবারো এ বিষয়ে আলোচনায় বসবেন বলেও জানান তিনি।

রাষ্ট্রদূত কাওনাইন আরও বলেন, ‘বাংলাদেশি শ্রমিকদের যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য চাকরিদাতাদের নির্দেশ দিয়েছে আবুধাবি অভিবাসন দপ্তর। দেশটির অভিবাসন কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়া পাসপোর্টের কপির ওপর ভিত্তি করে ভিসা ইস্যু করা হচ্ছে। ’

ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশে এখন এক কোটি ২৫ লাখ পাসপোর্টধারী রয়েছেন। ঢাকা গত ১ এপ্রিল থেকে যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্ট চালু করলেও সাময়িকভাবে আরো কিছুদিন পুরনো পাসপোর্ট ব্যবহার করার সুযোগ রাখা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত ৮ এপ্রিল এক প্রজ্ঞাপনে জানিয়েছে, প্রবাসী বাংলাদেশীদের বিভিন্ন সমস্যা থাকায় পুরনো পাসপোর্টের বৈধতা আরো দুই বছর থাকবে।

পরে ১৮ মে জারি করা অপর এক প্রজ্ঞাপনে এ বৈধতার সময়সীমা তিন বছর করা হয়।

আন্তর্জাতিক বেসরকারি বিমান চলাচল সংস্থা’র বিধি অনুযায়ী, ১ এপ্রিল থেকে সব পাসপোর্ট যন্ত্রে পাঠযোগ্য করা সম্ভব না হলে ২০১৫ সাল পর্যন্ত মেয়াদ থাকা পাসপোর্টগুলো বৈধ বলে বিবেচিত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।