সিলেট: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফারুক উদ্দিন বলেছেন, ‘ ‘শিক্ষার্থীদের ওপর ভাংচুরের দায় চাপিয়ে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করা প্রথম আলো’র মত দেশের র্শীষস্থানীয় পত্রিকার জন্য সত্যি লজ্জাজনক। প্রথম আলো শুধু শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় নয়, সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে অতিরঞ্জিত করে সংবাদ পরিবেশন করে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপচার্য প্রফেসর ড. সালেহ উদ্দিন।
উপাচার্য সাংবাদিকদেরকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও শিক্ষার্থীদের ওপর পরিবহন শ্রমিকদের হামলা ন্যক্কারজনক ও অমানবিক। এর প্রতিবাদে গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে শিক্ষার্থীরা মদিনা মার্কেট এলাকায় অবস্থান নেয়। ’
এ সময় পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কিছু লোক শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করে এবং কয়েকজনকে মারাত্মকভাবে আহত করে বলে উপাচার্য অভিযোগ করেছেন ।
এই অস্ত্রধারীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের উপর রাতের আঁধারে হামলা চালিয়ে ও গাড়ি ভাংচুর করে ছাত্র-শিক্ষক লাঞ্ছিত করার ঘটনাকে ভিন্নখাতে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনা উচিত।
শাবি উপাচার্য আরো বলেন, ‘ছদ্দবেশীর গাড়ী ভাংচুরকারীরা সুরমা এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মেসেও হামলা ও ভাংচুর করে। এ সময় শিক্ষার্থীদের হামলার হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল মুনিম জোয়ার্দার, সহকারী অধ্যাপক ড. দ্বিপেন দেবনাথ ও জুনিয়র অফিসার প্রদীপ চন্দ্র দাস সন্ত্রাসীদের হামলা থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পান। ’
তবে এঘটনা প্রকাশ না করে এর পরিবর্তে শাবি শিক্ষার্থীদের ওপর ভাংচুরের দায় চাপিয়ে বিভ্রান্তিকর খবর ছাপায় দৈনিক প্রথম আলো।
শাবি উপাচার্য পত্রিকাটিকে সত্য, নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ তথ্য পরিবেশনের আহ্বান জানান।
মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্য প্রফেসর ড. ইলিয়াস উদ্দিন বিশ্বাস, ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা প্রফেসর ড. ইউনুছ, প্রক্টর প্রফেসর ড. এসএম সাইফুল ইসলাম, শাহপরান হল প্রভোস্ট সৈয়দ হাসানুজ্জামান শ্যামল, শিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফারুক উদ্দিন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ০৭১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১০