ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ডিজিটাল পদ্ধতির ব্যবহার এবারেই প্রথম। আর সে পদ্ধতিতে ডিজিটাল প্রতারণাও প্রথম।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুল ইসলাম খান বাংলানিউজকে বলেন, প্রযুক্তিগত কৌশল ব্যবহার করে এমন এক প্রতারণার জাল ফাঁদা হয়েছে যা সত্যিই বিস্ময়কর। একে প্রতারণা নাকি অসদুপায় বলা হবে তা আমাদের জানা নেই। ”
এ অভিযোগে শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৯ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের তুলে দেওয়া হয়েছে র্যাব-এর হাতে। রাতেই তাদের নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকেছে র্যাব।
প্রতারণার ধরন ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে আরও বলেন, অনেক কিছুই ধারণার বাইরে। তবে এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে এ পদ্ধতিতে একজন ছাত্র যে কোনো পরীক্ষা হলে ঢুকে অনায়াসে ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে সক্ষম। আর সে উত্তর তার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলা সবাই পেয়ে যাবে নিজের সিটে বসেই। ”
পুরো প্রক্রিয়াটিই চলে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে।
গ্রেপ্তার হওয়া আমিনুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র। তিনিই এ পদ্ধতির মাস্টারমাইন্ড, জানালেন প্রক্টর সাইফুল ইসলাম।
তিনি আরও জানান, শুক্রবার এ প্রতারণার জন্য আমিনুলসহ নয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের মধ্যে ১ জন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ১ম বর্ষের, ২ জন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের, ১ জন ইভনিং এমবিএ কোর্সের, ১ জন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং ৩ জন এ বছরের ভর্তিচ্ছুক পরীক্ষার্থী। এই তিন জনের একজন মেয়ে। যার অভিভাবককেও আটক করেছে পুলিশ।
এদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বলেন, ছাত্রদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাকাডেমিক পানিশমেন্টের ব্যবস্থা নেবে তবে প্রতারণার ধরণ বিশ্লেষণ করেই সিদ্ধান্ত হবে তাদের বিরুদ্ধে কোন ধরনের আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।
গ্রেপ্তার হওয়াদের নিয়ে শনিবার ১১টায় সাংবাদিক সম্মেলন করবেন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
তবে রাতেই র্যাব-৩ এর সাংবাদিক সম্মেলনেও তিনি নিজেসহ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কয়েকজন উপস্থিত থাকবেন বলে বাংলানিউজকে জানান সাইফুল ইসলাম খান।
বাংলাদেশ সময় ২৩৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১০