ঢাকা, বুধবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

৪০ হাজার ৬০৮ কেজি পলিথিন জব্দ, ৩৪৯ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২৪
৪০ হাজার ৬০৮ কেজি পলিথিন জব্দ, ৩৪৯ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

ঢাকা: পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় চলছে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন শপিং ব্যাগের বিরুদ্ধে অভিযান। গত এক মাসে (৩ নভেম্বর থেকে ২৮ নভেম্বর) এ বিষয়ে সারা দেশে ১৬৬টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে।

এ সময় ৩৪৯টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও ১৯ লাখ ২৯ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া ৪০ হাজার ৬০৮ কেজি পলিথিন ব্যাগ জব্দ করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর নিউমার্কেটের বনলতা মার্কেট কাঁচাবাজারে মনিটরিং শেষে এসব তথ্য জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তপন কুমার বিশ্বাস। তিনি পলিথিন শপিং ব্যাগের নিষিদ্ধ ঘোষণা কার্যকর করতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় গঠিত মনিটরিং কমিটির সভাপতিও।

বাজার মনিটরিং শেষে তপন কুমার বিশ্বাস বলেন, কাঁচাবাজারে পলিথিন শপিং ব্যাগের ব্যবহার বন্ধে আমাদের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আমরা ঘোষণা করেছি ১ নভেম্বর থেকে পলিথিন শপিং ব্যাগ ব্যবহার করা যাবে না। এ ব্যাপারে আমরা সব মহল থেকে আন্তরিক সহযোগিতা পাচ্ছি। একটি মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। যার আহ্বায়ক আমি। আমরা নিয়মিত বিষয়টি মনিটরিং করছি। আমাদের কাজ হচ্ছে সচেতনতামূলক কাজ পরিচালনা করা। অর্থাৎ বিভিন্ন শপিংমল, মার্কেটে গিয়ে দোকানদার, ক্রেতা, সার্বিকভাবে জনগণকে সচেতন করা। আমরা সবার কাছ থেকে আন্তরিক সাড়া পাচ্ছি। এটি যে ক্ষতিকর তা সবাই স্বীকার করে নিচ্ছেন।

পলিথিন শপিং ব্যাগের ব্যবহার হ্রাস পেয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, বড় সুপারশপগুলোতে পলিথিন শপিং ব্যাগ ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। কাঁচা বাজারগুলোতে কিছু কিছু আছে। কিন্তু সেখানেও ব্যবহার অনেকটা কমে এসেছে। নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন শপিং ব্যাগ ব্যবহার বন্ধে সারা দেশে আমাদের কার্যক্রম চলছে। উৎপাদন কারখানার বিরুদ্ধেও আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।

এর আগে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন শপিং ব্যাগ ব্যবহার বন্ধে তপন কুমার বিশ্বাসের নেতৃত্বে নিউমার্কেট কাঁচাবাজারে মনিটরিং করেন মনিটরিং কমিটির সদস্যরা। তবে সেখানে প্রায় প্রতিটি দোকানে পলিথিন পাওয়া গেলেও কাউকে জরিমানা করা হয়নি। শুধু সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

এ সময় পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক রাজিনারা বেগম, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত উপসচিব সিদ্ধার্থ শংকর কুণ্ডু, সিনিয়র সহকারী সচিব সাবরীনা রহমান উপস্থিত ছিলেন।

নিউমার্কেট মনিটরিংয়ের বিষয়ে তপন কুমার বিশ্বাস বলেন, নিউমার্কেট একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার। এখানেও কিন্তু পলিথিন শপিং ব্যাগের ব্যবহার অনেকটা কমে এসেছে। কিছু আছে, সেটা পর্যায়ক্রমে বন্ধ হয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, পলিথিন ব্যাগের বিকল্প নিয়ে সার্বিকভাবে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন এনজিও এগিয়ে এসেছে। সার্বিকভাবে পরিবেশের জন্য ভীষণভাবে ক্ষতিকর পলিথিন ব্যবহার বন্ধে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আমরা সাফল্যের দিকে যাচ্ছি।

এ সময় বনলতা মার্কেট কাঁচাবাজারের সাধারণ সম্পাদক মো. শফিউল্লাহ বলেন, উৎপাদন বন্ধ হলে স্বাভাবিকভাবেই কাঁচাবাজারে পলিথিন ব্যবহার বন্ধ হয়ে যাবে। আমরাও পলিথিনের ক্ষতিকর প্রভাবে ভুগছি। পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করা সবার দায়িত্ব। এটা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্যও প্রয়োজন। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার পর্যায়ক্রমে আমরা বন্ধ করে দেবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২৪
এসসি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।