লালমনিরহাট: ঠিকদারি প্রতিষ্ঠানের কারসাজিতে ঝুঁকিপূর্ণ লারমনিরহাট-বুড়িমারী রেলপথ সংস্কার কাজ শুরু করতে দেরি হওয়ায় প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ১৭০ কোটি টাকা ফেরত যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।
কার্যাদেশ দেওয়ার তিন মাস পার হলেও এখনো ঠিক হয়নি কবে থেকে লালমনিরহাট-বুড়িমারী রেলপথের সংস্কার কাজ শুরু হবে।
বাংলাদেশ সরকার, স্থানীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টিসিসিএল ও চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিআরইএমই-এর মধ্যে কাজের জন্য চুক্তি স্বার হয়।
চুক্তি অনুযায়ী প্রকল্পের আওতায় লালমনিরহাট স্টেশন এলাকায় আরও ১০ কিলোমিটার নতুন লাইন সংযোজন, ৩৬টি ব্রিজ-কলভার্ট নির্মাণ, ৭টি নতুন বি-কাস স্টেশন বিল্ডিং ও প্লাটফর্ম নির্মাণ, অ্যাপ্রোচ রোড, প্রোটেকশন ওয়াল ও ব্লাস্ট ওয়াল নির্মাণ করার কথা। সরজমিনে দেখা গেছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এখন পর্যন্ত কাজই শুরু করেনি।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে রেলওয়ের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, চুক্তির ৩ মাসের মধ্যে কাজ শুরু না হলে প্রকল্পের অর্থ ফেরত যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তিনি আরও জানান, শুধুমাত্র ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কারসাজিতেই লালমনিরহাট-বুড়িমারী রেলপথ সংস্কার কাজের বরাদ্দ ফিরে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।
লালমনিরহাট রেলওয়ের বিভাগীয় প্রকৌশল বিভাগ সূত্র জানায়, ঠিকাদারের নকশা রাজশাহী রেলওয়ে অফিসে প্রকল্প পরিচালকের টেবিলে পড়ে আছে। তিনি নকশার অনুমোদন দিলেই সংস্কার কাজ শুরু হবে।
লালমনিরহাট রেলওয়ের বিভাগীয় প্রকৌশলী আসাদুল হক বাংলানিউজটোয়েনিটফোর.কম.বিডিকে বলেন, প্রকল্প পরিচালক ঠিকাদারের নকশা পাস করলেই সংস্কার কাজ শুরু হবে। চুক্তি অনুযায়ী ১৮ মাসের মধ্যেই কাজ সম্পন্ন করতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে তাগিদ দেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এ কাজের জন্য গত তিন বছরে তিনটি দরপত্র বাতিল হওয়ার পর চলতি বছর মার্চ মাসে চতুর্থ দরপত্র গ্রহণ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০১০