জয়পুরহাট: জয়পুরহাট কালাইতে এক যুবকের হাত-পা ভেঙে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও এক যুবলীগ নেতা।
মামলায় সাক্ষ্য দেওয়ার অপরাধে কালাই উপজেলার পুনট ইউনিয়নে ঘটনাটি ঘটেছে।
জয়পুরহাট প্রেসকাবে সোমবার সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী যুবকটির আত্মীয়-স্বজনরা এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান ভুক্তভোগী যুবক সিরাজুল ইসলামের মামাতো ভাই মোজাফ্ফর তালুকদার।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মোজাফ্ফর তালুকদার বলেন, ‘পূর্ব বিরোধের জের ধরে গত ২ অক্টোবর পুনট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দল কুদ্দুস সিরাজুল ইসলামকে পুনট বাস স্ট্যান্ড থেকে ধরে নিয়ে মারপিট করে তার কাছ থেকে সাদা স্টাম্পে স্বার নেয়। এ ঘটনায় কালাই থানায় মামলা করতে গেলে থানা মামলা গ্রহণ না করায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করা হয়।
মারপিটের ফলে গুরুতর আহত সিরাজুল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন থেকে ১৮ দিন পর বাড়ি ফিরে যায়। গত ২৩ অক্টোবর সিরাজুল ওষুধ কেনার জন্য পুনট বাজারে এলে চেয়ারম্যানের সহযোগী উজ্জল ও আরিফ নামের ২ যুবক তাকে পুনট ইউপি কার্যালয়ে নিয়ে মারপিট করে হাত-পা ভেঙে দেয়। তাৎক্ষণিক র্যাবের হস্তেেপ গুরুতর আহত সিরাজুলকে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় জাল টাকা থাকার অভিযোগ এনে চেয়ারম্যানের সহযোগী নাসির সিরাজুল ও মোজাফ্ফর-এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় কালাই থানা পুলিশ সিরাজুলকে হুইল চেয়ারে করে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। ’
সংবাদ সম্মেলনে সিরাজুলের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম, সিরাজুলের শাশুড়ি জায়েদা বেগম জানান, ‘এর আগে উক্ত চেয়ারম্যান ও তার ভাতিজা কালাই উপজেলা চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান পুনট পূর্ব পাড়ার আহসান ও পাঁচপাইকা গ্রামের রানার হাত-পা ভেঙে দিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে তারা সিরাজুলের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ যুবলীগ নেতা কুদ্দুসের বিচার দাবি করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১০