ঢাকা: আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী চলতি মাসের মধ্যেই রাজধানীর অন্যতম প্রধান চার খাল উদ্ধারের টার্গেট নিয়েছে ঢাকা জেলা প্রশাসন ও ওয়াসা।
খালগুলো হলো- রামচন্দ্রপুর, গাবতলী, কল্যাণপুর ‘ক’ ও কল্যাণপুর ‘গ’।
এগুলোর মধ্যে আগামী ২৮ অক্টোবর কল্যাণপুর ‘ক’ খাল উদ্ধারের ঘোষণা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এরপর তারা উদ্ধার করবে গাবতলী ও কল্যাণপুর ‘গ’ খাল।
তবে রামচন্দ্রপুর খাল নিয়ে দরকষাকষি চলছে মোহাম্মদীয়া মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন বহুমুখী সমবায় সমিতির সঙ্গে।
এ খালের দখলদার মুক্তিযোদ্ধারা খাল ছেড়ে দেওয়ার শর্ত হিসেবে চার একর সরকারি খাস জমি দাবী করেছে ধানমণ্ডির সাত মসজিদ রোডে।
এ ব্যাপারে আলোচনার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংগঠনটির সঙ্গে বৈঠকেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তবে এখনো বৈঠকের দিনক্ষণ ঠিক হয়নি বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন ঢাকার জেলা প্রশাসক মুহিবুল হক।
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য স্থানীয় সাংসদ ও স্থানীয় সরকার, সমবায় এবং পল্লী উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকের উপস্থিত থাকা প্রয়োজন। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে প্রতিমন্ত্রী সময় দিতে পারছেন না। ’
মুক্তিযোদ্ধাদের বাস্তুচ্যুত করে খাল উদ্ধার করা যাবেনা বলে মন্তব্য করেন তিনি বলেন, ‘এ ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের মাধ্যমে এ মাসের (অক্টোবর) মধ্যেই রামচন্দ্রপুর খাল উদ্ধার করা হবে। ’
প্রসঙ্গত, প্রায় এক যুগ আগে মোহাম্মদীয়া মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন বহুমুখী সমবায় সমিতির ব্যানারে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি সংগঠনের ৬৫টি পরিবার রামচন্দ্রপুর খাল দখল করে বসতি স্থাপন করে। গত ১৮ অক্টোবর ওই খাল উদ্ধারে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের তোপের মুখে পড়ে ফিরে আসে ঢাকা ওয়াসা।
সমিতির বর্তমান চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান তালুকদার বাংলানিউজকে বলেন, ‘স্থানীয় সাংসদ ও স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক ও ঢাকা জেলা প্রশাসকের পুনর্বাসনের আশ্বাসে আমরা এখানে বসবাস করছি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১০