ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

জাবি’তে ভর্তির ক্ষেত্রে মেধা মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন

ওয়ালিউলাহ, জাবি প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১০
জাবি’তে ভর্তির ক্ষেত্রে মেধা মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন

জাবি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীতে ভর্তির ক্ষেত্রে ভর্তিচ্ছুদের মেধা মূল্যায়নের বর্তমান পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। একই ইউনিটে ভর্তির জন্য বিভিন্ন শিফটের পরীক্ষায় পৃথক প্রশ্নপত্র থাকায় মেধা মূল্যায়ন নিয়ে এ প্রশ্ন উঠেছে।



বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক ও ভর্তিচ্ছুরা মেধা মূল্যায়নের বর্তমান পদ্ধতির বিপক্ষে বললেও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ একাধিক শিক্ষক ও ভর্তি পরিচালনা কমিটির সচিব এর পক্ষেই মত দেন।

গত রোববার ও সোমবার পৃথক প্রশ্ন দিয়ে ‘ছ’ ও ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার ৫ শিফটে পৃথক প্রশ্ন দিয়ে ‘ঘ’ ইউনিটে ভর্তিচ্ছুদের পরীক্ষা চলছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক বাংলানিউজকে জানান, ভর্তির জন্য যখন বিভাগভিত্তিক লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতো তখনও বিভিন্ন শিফটে পৃথক প্রশ্ন ছিল।   এর মাধ্যমে মেধার যথাযথ মূল্যায়ন হয় না।

তারা জানান, মেধার যথাযথ মূল্যায়নের জন্য অভিন্ন প্রশ্ন দিয়ে একই ইউনিটে ভর্তিচ্ছু সবার পরীক্ষা একসঙ্গে নেওয়া উচিত।

‘ঘ’ ইউনিটে ভর্তির জন্য বিভিন্ন শিফটের পরীক্ষায় অংশ নেওয়া একাধিক ভর্তিচ্ছু অভিযোগ করেন, ‘আগের শিফটের প্রশ্ন দেখে মনে হয়েছে এটা আমাদের শিফটের চেয়ে সহজ। ’

অভিন্ন প্রশ্ন দিয়ে একসঙ্গে একই ইউনিটের সবার পরীক্ষা নিয়ে মেধা মূল্যায়নের দাবি জানান তারা।

‘গ’ ইউনিটভুক্ত কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক অসিতবরণ পাল বাংলানিউজকে বলেন, ‘এক শিফটের প্রশ্ন আরেক শিফটের চেয়ে আলাদা হলেও সব প্রশ্নেই গতানুগতিক ধারা অব্যাহত থাকে। ’

‘ঘ’ ইউনিটভুক্ত জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন আবদুল জব্বার হাওলাদার বলেন, ‘আমরা প্রশ্নগুলোর একই ধরন বজায় রাখার চেষ্টা করেছি। ’   

এ পরীক্ষা পদ্ধতিকে আর্ন্তজাতিকভাবে স্বীকৃত পদ্ধতি হিসেবে দাবি করে জাবি’র কেন্দ্রীয় ভর্তি পরিচালনা কমিটির সচিব ড. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞ শিক্ষকেরা এ প্রশ্ন করে থাকেন। প্রশ্নে আকাশ-পাতাল ব্যবধান না করার জন্যও নির্দেশ দেওয়া আছে তাদের। সে অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ’

বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির বলেন, ‘যে অক্সিজেন বানান জানে সে হাইড্রোজেন বানানও জানে। মেধাবীরা সবসময়ই মেধাবী। ’

এ পদ্ধতিতে মেধার সঠিক মূল্যায়ন হয় বলে দাবি করেন করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।