ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাঘাডাঙ্গা সীমান্তে দ্বিতীয়দফা ভারতে পাচারকালে দুই শিশুসহ ২ মাকে গ্রামবাসী উদ্ধার করে স্থানীয় বিডিআর ক্যাম্পে সোপর্দ করেছে।
এ সময় জনতা পাচারকারী চুয়াডাঙ্গা শহরের ফার্মপাড়ার আবু বকরের ছেলে আনোয়ার হোসেন ও কোটচাঁদপুর উপজেলার বলুহর রামচন্দ্রপুর গ্রামের ভোলানাথ রায়ের ছেলে তকিম রায়কে আটক করে গনপিটুনী দিয়ে বিডিআরের হাতে তুলে দেয়।
উদ্ধার পাওয়া ৪ নারী-শিশু হচ্ছে চুয়াডাঙ্গা জেলার ফার্মপাড়ার শাকের আলীর স্ত্রী উজিলা খাতুন ও তার শিশুপুত্র স্বাধীন (৪) এবং আশাদুলের স্ত্রী নাজমা খাতুন ও তার শিশু পুত্র মনির (৪)।
মহেশপুর বাঘাডাঙ্গা বিডিআর ক্যাম্পের নায়েক মজিবর রহমান বাংলানিউজকে জানান, গত ১৯ অক্টোবর উজিলা খাতুন ও নাজমা খাতুনকে চুয়াডাঙ্গা শহরের ফার্মপাড়ার প্রতিবেশি আনোয়ার হোসেন বেড়ানোর কথা বলে উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে নিয়ে আটকিয়ে রাখে।
নায়েক মজিবর জানান, ২১ অক্টোবর আনোয়ার ও তকিম রায় ভারতীয় দালাল চক্রের কাছে তাদের ৪ জনকে মাত্র ২০ হাজার টাকায় বিক্রির পর মহেশপুরের বাঘাডাঙ্গা ও ভারতের সিলবাড়িয়া সীমান্ত পথে পাচার করে দেয়। এরপর দালালরা তাদেরকে ভারতের সিলবাড়িয়া সীমান্তের চাঁনপুর গ্রামে আটকে রাখে।
কিন্তু মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে উজিলা ও নাজমা খাতুন সুযোগ বুঝে তাদের দুই সন্তানকে নিয়ে ভারতীয় এক মহিলার সহযোগিতায় সীমান্ত নদী ইছামতি পাড়ি দিয়ে মহেশপুরের বাঘাডাঙ্গার খোসালপুর গ্রামে আশ্রয় নেন।
এদিকে পাচারকারী আনোয়ার ও তকিম রায় মোবাইল ফোনে ভারতীয় দালালদের কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পেরে সকাল ৮টার দিকে খোসালপুর গ্রামে এসে তাদেরকে পাকড়াও করে দ্বিতীয় দফা পাচারের উদ্দেশ্যে জোর খাটিয়ে সীমান্তের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় তাদের চিৎকারে গ্রামবাসী ছুটে এসে দুই পাচারকারীকে আটক করে গণধোলাই দেয়। পরে তাদেরকে স্থানীয় বাঘাডাঙ্গা বিডিআর ক্যাম্পে সোপর্দ করা হয়।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (দুপুর ২টা ২৫ মিনিট) পাচারকারী ও উদ্ধার হওয়া নারী-শিশুদেরকে বাঘাডাঙ্গা বিডিআর ক্যাম্পে রাখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মহেশপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশিদ মণ্ডল জানান, পাচারকারী ও উদ্ধার হওয়া মহিলা এবং শিশুদেরকে আনার জন্য পুলিশ সীমান্তে রওনা হয়েছে।
এ ঘটনায় বিডিআরের প থেকে মামলা করা হবে বলে তিনি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১০