ঢাকা: যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ মিথ্যা অভিযোগে এক পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে ধরে নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে গতকাল সোমবার রাত ১২টা থেকে মঙ্গলবার ভোর ৪টা পর্যন্ত ওই থানা ঘেরাও করে রাখেন ধলপুর সিটিপল্লীর প্রায় ২০০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী। পরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুক্তার সোমবার বিকেলে নাজু নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে মাদক রেখে তাকে ছেড়ে দেয়।
পরে রানা নামের এক পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে ধরে এনে তাকে মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে চালান করার চেষ্টা করে পুলিশ।
এ খবর সিটিপল্লীতে ছড়িয়ে পড়লে প্রায় ২০০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী রানাকে মুক্ত করতে এবং পুলিশের অবৈধ কাজের প্রতিবাদ জানাতে যাত্রবাড়ী থানা ঘেরাও করে। তাদের তোপের মুখে রানাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় পুলিশ।
খবর পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বাংলানিউজকে বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এসআই মুক্তার যদি দোষী হয় তার বিরুদ্ধেও বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘কেউ পুলিশের নাম ব্যবহার করে টাকা নিয়েছে কিনা সে বিষয়টিও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ’ কিছু অসৎ সোর্স এ কাজ করে থাকতে পারে বলেও মন্তব্য করেন ওসি মনিরুজ্জামান।
ওসি জানান, এ ঘটনায় দুই সোর্সকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
এ বিষয়ে এসআই মুক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। ’
আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হলে যে কোনো শাস্তি মাথা পেতে নেবেন বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১১১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১০
এইচজেএস/এটিএস
শব্দসংখ্যা ২২২