ঢাকা : আগামী ১৫ আগস্ট যথাযথ মর্যাদায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ৩৫তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালনের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার।
আজ বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব এম আবদুল আজিজ এনডিসি’র সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদ কে অনুষ্ঠিত এক আন্ত:মন্ত্রণালয় সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
এক সরকারি তথ্য বিবরণীতে বলা হয়েছে, এদিন সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদশ মিশনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। আয়োজন করা হবে আলোচনা সভা।
সকাল সাড়ে ৬টায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় গার্ড অব অনার প্রদান করবে সশস্ত্রবাহিনী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল সাড়ে ৭টায় বনানী কবরস্থানে শাহাদাত বরণকারী জাতির জনকের পরিবারের সদস্য ও অন্যান্য শহীদদের কবর এবং ১০টায় গোপালগঞ্জের টুংগীপাড়ায় জাতির জনকের সমাধিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করবেন।
দিনটিতে সারাদেশে মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে।
জাতীয় শোক দিবস উপলে বেতার এবং টেলিভিশনে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার এবং সংবাদপত্রসমূহ বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। এছাড়া পোস্টার, সচিত্র বাংলাদেশের বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ ও বিতরণ এবং বঙ্গবন্ধুর উপর ‘চিরঞ্জীব বঙ্গবন্ধু’ প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হবে।
এছাড়া সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থা, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনও জাতীয় কর্মসূচির সাথে সামঞ্জস্য রেখে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করবে।
বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আলোচনা সভা, কবিতা পাঠ, রচনা ও চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতা, হামদ্ ও নাত্ প্রতিযোগিতা, মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময় ২১১৭ ঘণ্টা, জুলাই ১, ২০১০