ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে স্বল্প জীবনকালীন ফসল চাষের আহ্বান

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৪
বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে স্বল্প জীবনকালীন ফসল চাষের আহ্বান

কুমিল্লা: বন্যার কারণে অনেক জমি পানিবন্দি। তাই এখন রোপা আমন ধান লাগানো যাচ্ছে না।

২০ সেপ্টেম্বরের পরে মাঠে রোপা আমন ধান না লাগানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কারণ ফুল আসবে শীতের সময়। এতে ফসল নষ্ট হয়ে যাবে। এছাড়া বোরো চাষেও সমস্যার সৃষ্টি হবে।  

অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে স্বল্পমেয়াদি রবিশস্য যেমন- লালশাক, পাটশাক, ধনিয়া, সরিষা, মাষকলাই চাষ করলে কৃষক তার ক্ষতি পুষিতে নিতে পারেন।  

বাংলাদেশ পরমাণু ইনস্টিটিউট কেন্দ্রের (বিনা) কুমিল্লা উপকেন্দ্র কৃষি মন্ত্রণালয়ের পরামর্শে এই অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মধ্যে সরিষা ও মাশকলাইয়ের বীজ বিতরণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। বিনা কুমিল্লা উপকেন্দ্রের বীজতলায় উৎপাদন করা ধানের চারা ১৫-২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।  

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিনা উদ্ভাবিতে উচ্চ ফলনশীল এবং স্বল্পমেয়াদি জনপ্রিয় জাত সমূহের পরিচিতি ও চাষাবাদ কলাকৌশল শীর্ষক দিনব্যাপী আঞ্চলিক প্রশিক্ষণে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। প্রশিক্ষণটি অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ পরমাণু ইনস্টিটিউট কেন্দ্র (বিনা) কুমিল্লার উপকেন্দ্রে।  

বিনা কুমিল্লার ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. মো. আশিকুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন- বিনার মহাপরিচালক ড. মো. আবুল কালাম আজাদ।  

বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো. আক্তারুজ্জামান, উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আইউব মাহমুদ, বিনা উপকেন্দ্র কুমিল্লার ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ফাহমিনা ইয়াসমিন। প্রশিক্ষণে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে কৃষক, কৃষি কর্মকর্তা, সংগঠক ও গণমাধ্যমকর্মীসহ বিভিন্ন পেশাজীবী অঙ্গনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। উন্মুক্ত আলোচনায় উচ্চ ফলনশীল ও স্বল্পমেয়াদি ফসলের জনপ্রিয় জাতগুলোর পরিচিতি তুলে ধরা হয়।

এ সময় বক্তারা বলেন, সম্প্রতি কুমিল্লা অঞ্চলে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কৃষক। নষ্ট হয়েছে ৮৬ হাজার হেক্টর ফসল। বাড়ি-ঘর হারিয়ে অনেকেই নিঃস্ব হয়ে গেছেন। তাই তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ দিতে হবে। পুনর্বাসনের পাশাপাশি বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ বিতরণ করতে হবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে।

তারা আরও বলেন, কৃষকের মনোবল বাড়ানোর বিষয়ে কাজ করতে হবে। কৃষি বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে কুমিল্লা অঞ্চলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৫৪ হাজার কৃষককে বিনামূল্যে সার দেওয়া হবে।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ও বিনার গবেষণা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের অর্থায়নে বিনা উদ্ভাবিত জাত এবং প্রযুক্তির চাষাবাদ, বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণ কলাকৌশল শীর্ষক প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।

সর্বশেষ বিনার কুমিল্লা উপকেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ফাহমিনা ইয়াসমিনের ময়মনসিংহে প্রধান কার্যালয়ে বদলি উপলক্ষে বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বক্তারা বলেন, ড. ফাহমিনা ইয়াসমিন কৃষি অন্তঃপ্রাণ মানুষ। তিনি বৃহত্তর কুমিল্লার কৃষির জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করেছেন। আমরা তার সুন্দর আগামী প্রত্যাশা করি।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।