ঢাকা, সোমবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

গাউছিয়া মার্কেটের সভাপতির কাছে চাঁদা দাবির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৪
গাউছিয়া মার্কেটের সভাপতির কাছে চাঁদা দাবির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

ঢাকা: চাঁদা দাবির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন রাজধানীর গাউছিয়া মার্কেটের দোকান মালিক সমিতির সভাপতি ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।  

তিনি বলেছেন, বিএনপির নাম ভাঙিয়ে একদল সন্ত্রাসী তার কাছে চাঁদা দাবি করছে।

তাকে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়েছে।  

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন সমিতির বেশ কয়েকজন নেতা ও দোকান মালিক। সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তারা সম্মিলিতভাবে অনুরোধ জানান।  

সংবাদ সম্মেলনটি রাজধানীর রিপোটার্স ইউনিটিতে করার কথা থাকলেও সার্বিক নিরাপত্তার কারণে পরে নিরাপদ স্থানে করা হয়। কারণ সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজেরা নানাভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিলেন।  

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ যোদ্ধাদের রুহের মাগফিরাত কামনা ও আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে ফরিদ উদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন সরকারি নিয়মনীতি মেনে আমরা সুনামের সাথে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে একটি দুষ্কৃতকারী চক্র নানাভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে এবং মোটা অংকের টাকা দাবি করছে। তারা আচমকা আমাদের মার্কেটগুলোতে আক্রমণ চালিয়ে দোকানদার ও মার্কেট সমিতির কাছে চাঁদা দাবি করেই ক্ষান্ত হচ্ছে না, তাদের দাবি না মানলে দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়ার হুমকিও দিচ্ছে। দিনে দুপুরে হুমকি-ধামকি এবং জোরপূর্বক দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়াসহ প্রাণনাশের হুমকির মুখে আমরা জীবন এবং পরিবার নিয়ে শংকায় আছি। ’

তিনি তাদের পরিচয় উল্লেখ করে বলেন, গোষ্ঠীটি নিজেদেরকে বিএনপির নেতাকর্মী পরিচয় দিলেও বাস্তবে তারা সন্ত্রাসী। ঘটনাটি বিএনপির শীর্ষ এক নেতাকে জানানো হয়েছে। তিনি তাৎক্ষণিক কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু বাস্তবে যাকে দায়িত্ব দিয়েছেন, তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি। ফলে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটি আবারও হানা দেয়।  

তিনি দাবি করে বলেন, গত কয়েকদিন আগে একদল সন্ত্রাসী রাজনৈতিক পরিচয়ে আমার সমিতির অফিসে আসে। সেখানে তারা আমার খোঁজ করে। আমি সেখানে যাওয়ার পর তারা বলেন, তারা আমার কাছে টাকা পান। দ্রুত যেন তাদের টাকা পরিশোধ করি। আমি জানতে চাই, তারা কিসের টাকা পান? উত্তরে তারা জানায়, আমরা যে ভারতের কলকাতার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ব্যবসা করি তারাই তাদের টাকা উদ্ধারের জন্য নিযুক্ত করেছেন। তাই সেই ব্যবসায়ীদের টাকা যেন তাদের হাতে দিয়ে দেই।  

কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো, ভারতীয় ব্যবসায়ী আমাদের কাছে কোনো ধরনের টাকা পায় না। যদি পেয়েও থাকে সেটা আমরা আমাদের মতো করে সমাধান করবো, সেখানে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ কেন? বিষয়টি নিয়ে তারা কয়েকদফা প্রায় ২০০-৩০০ লোক নিয়ে আমার দোকানে আসেন। টাকা না দেওয়ার কারণে আমার দোকান বন্ধ করে দেয়। পরে আমি সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহায়তায় দোকান খুলি। পরে আবার এসে দোকান বন্ধ করে দেয় এবং পাওয়া টাকার জন্য আমার বিরুদ্ধে গাউছিয়া মার্কেটে মানববন্ধন করে। শুধু তাই নয়, আমাদের ছবি বিকৃত করে ও এডিট করে সাবেক মেয়রসহ আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে যুক্ত করে নানা ধরনের মিথ্যা প্রচারণাও চালাচ্ছেন। আমরা এরইমধ্যে সংশ্লিষ্ট থানা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দিয়ে বিষয়টি অবগত করেছি।  

ফরিদ আহমেদ বলেন, এখন আমার প্রশ্ন হলো, যে ভারত আমাদের দেশের এমন পরিস্থিতির জন্য এতটা দায়ী তাদের সঙ্গে এইসব সন্ত্রাসীদের যোগসূত্রতা কিসের ইঙ্গিত। পাশাপাশি আজকে আমি ভুক্তভোগী হলেও একই আশঙ্কায় রয়েছেন গাউছিয়া মার্কেটসহ আশপাশের মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। এমতবস্তায় আমরা খুবই শঙ্কার মধ্যে রয়েছি এবং সবাই জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। আমি বিশ্বাস করি, সন্ত্রাসীর কোনো দল নেই।  

তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দল ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আকুল আবেদন, দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি ব্যবসায়িক পরিবেশ স্বাভাবিক রাখার দিকেও বিশেষ নজর দিন। সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ারও আহ্বান জানাই।  
 
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৪
নিউজ ডেস্ক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।