ঢাকা, বুধবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ফেনীতে বন্যায় পোল্ট্রিখাতে চারশ কোটি টাকা ক্ষতি 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪
ফেনীতে বন্যায় পোল্ট্রিখাতে চারশ কোটি টাকা ক্ষতি 

ফেনী: ফেনীতে বন্যায় পোল্ট্রিখাতে খামারিদের চার শত কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন।

রবিবার (০৮ সেপ্টেম্বর) শহরের ফুড গার্ডেন রেস্টুরেন্টে ফেনী জেলা পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে পোল্ট্রি খামারিদের অবহিতকরণ ও পুনর্বাসনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানান এসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দ।

 

সংবাদ সম্মেলনে পোল্ট্রি মালিক সমিতির কর্মকর্তারা জানান, সম্প্রতি ভয়াবহ বন্যায় ফেনী জেলার ৮০ ভাগ পোল্ট্রি ফার্ম তলিয়ে গেছে, ২০ ভাগ পোল্ট্রি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে জেলার ৫ হাজার ছোট বড় পোল্ট্রি মালিকের প্রায় ৪ শত কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। এমতাবস্থায় সরকারের সহযোগিতা ছাড়া ফেনীর পোল্ট্রি শিল্প উৎপাদনে যাওয়া সম্ভব নয়।
 
তাই সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর পোল্ট্রিখাতে নগদ সহযোগিতা করা, চলমান ব্যাংক ঋনের সুদ ও কিস্তি আগামী ২ বছরের জন্য স্থগিত করা, ডিলার ও খামারিদের দুই বছর মেয়াদি সহজ শর্তে সুদবিহীন ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা, খাদ্য ও বাচ্চা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান গুলোকে আগামী এক বছর বিনা লাভে বাচ্চা ও খাদ্য সরবরাহ করা, ঔষধের যৌক্তিক মূল্য বৃদ্ধি করাসহ নানা দাবী উপস্থাপন করা হয়।  

এ ছাড়া পোল্ট্রি খামারগুলো প্রতিদিন এক লক্ষ ৫০ হাজার কেজি মাংস উৎপাদ করেছে। ফেনীর পোল্ট্রি শিল্প উৎপাদন দিয়ে ইতোপূর্বে ফেনী জেলা ছাড়াও পাশ্ববর্তী নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম জেলায় চাহিদা পূরণ করা হয়েছে। ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে এখন পল্ট্রি খামারিরা বেঁচে থাকাই দায়।

বর্তমানে ফেনীতে পাঁচ হাজার ছোট বড় খামারি মালিক রয়েছে । অনেকে ব্যাংক লোন নিয়ে ব্যবসা করে আসছিলেন।  

বন্যা পরবর্তী ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে অনেকে দেউলিয়া হওয়ার পথে রয়েছেন। তাই যথাযথভাবে ক্ষতিগ্রস্ত খামার মালিকের তালিকা অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়। খামারিরা যেন বেকার না হয়ে পড়ে এজন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলামের সঞ্চালনায় জেলা পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি ডাকবাংলা পোল্ট্রির মালিক আরিফুল রহমান, পরশুরাম উপজেলার সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, ছাগলনাইয়া উপজেলা সভাপতি আবদুল মোমেন মিলন মাস্টার, সোনাগাজী উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলন শেষে জেলা প্রশাসক বরাবরে স্বারকলিপি প্রদান করেছে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮,২০২৪
এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।