যশোর: বিএনপি নেতাকে হত্যার হুমকি, চাঁদাবাজি ও লুটপাটের অভিযোগের ঘটনার এক দু বছর পর মামলা হয়েছে যশোর-১ (শার্শা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) শেখ আফিল উদ্দীনসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে।
বুধবার (০৪ সেপ্টেম্বর) যশোরের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য ও শার্শা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শ্যামলগাছী গ্রামের মোস্তফা কামাল মিন্টু।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী আমিনুর রহমান। শেখ আফিল উদ্দিন ২০০৮ সাল থেকে আওয়ামী লীগের টানা চারের সংসদ সদস্য ছিলেন।
অন্য আসামিরা হলেন- শার্শার শ্যামলগাছী গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা কবির উদ্দীন তোতা, একই গ্রামের চার ভাই রফিকুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম মন্টু, তরিকুল ইসলাম ও নজরুল ইসলাম। এছাড়া একই গ্রামের শান্টু ওরফে কালু, ছাত্তার, শার্শা টিঅ্যান্ডটি অফিস এলাকার আসাদুজ্জামান আসাদ, শার্শা গ্রামের আদিল এবং উত্তর বুরুজ বাগানের হাফিজুর রহমান মিন্টু।
মামলায় মিন্টু উল্লেখ করেন, যশোর জেলা আইনজীবী সমিতিতে ‘ল’ চেম্বার রয়েছে। এছাড়াও তার আরেকটি চেম্বার রয়েছে নিজ বাড়ি সংলগ্নে। সেখানে বসে তিনি এলাকার মানুষের আইনি সেবা দেন। ২০২২ সালের ২৫ অক্টোবর নিজ এলাকার চেম্বারে বসে ছিলেন। এমন সময় শার্শা-১ আসনের এমপি শেখ আফিল উদ্দীনের নির্দেশে অন্য আসামিরা বাদীকে হত্যার উদ্দেশে অফিসে হামলা চালায়। এ সময় তার গলায় গাছি দা ধরে বলে ‘বড় নেতা হয়ে গেছিস? তোকে খুলনার বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে কে জেতে বলেছিল? এছাড়া বলে আগামী সপ্তাহে আমাদের পিকনিক রয়েছে। সেখানে পাঁচ লাখ টাকা দিবি না হলে হত্যা করে লাশ গুম করে দেওয়া হবে। এর প্রতিবাদ জানালে, আসামিরা তার অফিস ভাঙচুর করে। এ সময় বিভিন্ন আসবাবপত্র লুট করে। মামলার নথি ছিড়ে ফেলে। হত্যার হুমকি দিয়ে চেম্বারের ড্রয়ারে থাকা বাদীর দুই লাখ ৭০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় তিনি শার্শা থানায় মামলার জন্য যান। কিন্তু আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় মামলা নেয়নি। বর্তমানে দেশের স্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় তিনি আদালতে এ মামলা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২৪
ইউজি/আরআইএস