ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‌‌সেভ দ্য চিলড্রেনের গবেষণা: ভোলায় শিশুরাই অপুষ্টির বড় শিকার

মহিউদ্দীন জুয়েল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১০
‌‌সেভ দ্য চিলড্রেনের গবেষণা: ভোলায় শিশুরাই অপুষ্টির বড় শিকার

ঢাকা: ‘দেশের দ্বীপজেলা ভোলায় শিশুরাই সবচেয়ে বেশি অপুষ্টির শিকার। অপুষ্টির কারণে এসব শিশুর জীবন এখন চরম ঝুঁকির মুখে।

এই অঞ্চলের অনেক শিশুকেই ঠিকমতো হাসপাতালে নেওয়া হয় না। চিকিৎসা শেষ হওয়ার আগেই অনেক শিশুকে বাড়ি নিয়ে যান তাদের বাবা-মা। ’

সম্প্রতি সেভ দ্য চিলড্রেন-এর এক গবেষণা-সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে। অপুষ্টির শিকার ভোলা জেলার এসব শিশুকে সুস্থ করে তুলতে বা পুনর্বাসনে কমিউনিটি সেবা-পরিচর্যার তাগিদ দেওয়া হয়েছে গবেষণা-সমীক্ষায়।


ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথ নিউট্রিশন-এর পরিচালক (লাইন ডিরেক্টর) অধ্যাপক ডা. ফাতিমা পারভীন চৌধুরী গবেষণা পরিচালনা প্রসঙ্গে বাংলানিউজকে বলেন, ‘ভোলা জেলায় এক বছর ধরে এ গবেষণা সমীক্ষাটি চালানো হয়েছে। এতে সহযোগিতা করেছে ইউএসএআইডি এবং পেপসিকো নামের দুটো ফাউন্ডেশন। সেভ দ্য চিলড্রেনের বৃহত্তর স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সংক্রান্ত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা এই গবেষণাটি চালিয়েছি। ’

তিনি আরো বলেন, ‘এ গবেষণা সমীক্ষায় ভোলার দুটো উপজেলার করুণ চিত্র ফুটে উঠেছে। এর মাধ্যমে পুরো দেশে অপুষ্টির শিকার শিশুদের সর্ম্পকে কিছু ধারণা লাভ করা যাবে। ’

তিনি জানান, ‘ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন ও লালমোহন উপজেলায় ২০০৯ সালের জুন থেকে ২০১০ সালের জুন পর্যন্ত সমীক্ষাটি চালানো হয়। এর মধ্যে বোরহানউদ্দিনে চরম অপুষ্টির কারণে শিশুদের জীবনে যে ঝুঁকি দেখা দিয়েছে, তা প্রতিরোধে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ব্যবস্থাপনার ওপর জোর দেওয়া হয়।

অপরদিকে, লালমোহন উপজেলা প্রসঙ্গে বলা হয়, এখানকার অপুষ্টির শিকার শিশুদের সুবিধাভিত্তিক হাসপাতালে পাঠানো হয়। ’  

ডা. ফাতিমা পারভীন জানান, ‘সমীক্ষার সুপারিশে অপুষ্টির শিকার শিশুদের রক্ষা করতে ‘রেডি-টু-ইউজ থেরাপিউটিক ফুডস’ পরিবেশনের কথা বলা হয়েছে। গুঁড়ো দুধ, চিনি, ভোজ্যতেল, চীনাবাদাম-মাখন, বিভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেল বা খনিজ উপাদানের মিশ্রণে এ খাবার তৈরি করা যেতে পারে। ’ এ খাবারকে গবেষক দল বাড়িভিত্তিক থেরাপি হিসেবে উল্লেখ করেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথ অ্যান্ড নিউট্রিশন ইন বাংলাদেশ, বরিশাল মেডিকেল কলেজ ও ভোলা জেলা স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের একটি তদন্ত দল এই সমীক্ষা পরিচালনায় তদারকির দায়িত্ব পালন করে।

বাংলাদেশ সময়:  ১৭৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।