ঢাকা: বন্যপ্রাণী দ্বারা আক্রান্ত মানুষের জানমাল ক্ষতিপূরণ নীতিমালা, ২০১০ সোমবারের বৈঠকে অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা কমিটি।
নীতিমালা অনুযায়ী, বন্য প্রাণীর আক্রমণে নিহত হলে এক লাখ, আহত হলে ৫০ হাজার এবং বাড়িঘর ও ফসলের তি হলে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত তিপূরণ দেওয়া হবে।
অন্যদিকে, মানুষ বন্যপ্রাণীর কোনো ক্ষতি করলে সর্বোচ্চ ১২ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর তথ্যসচিব আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মিহির কান্তি মজুমদার বাংলানিউজকে বলেন, এখন থেকে নীতিমালাটির বাস্তবায়ন শুরু হবে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ এবং সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির কারণে মানুষ যাতে বন্য প্রাণী মেরে না ফেলে এ জন্যই নীতিমালাটি প্রণয়ন করা হয়েছে।
বন বিভাগের সূত্র জানায়, নীতিমালায় বন্যপ্রাণী বলতে শুধু বাঘ, হাতি ও কুমিরকে বোঝানো হয়েছে। এ তিন প্রাণীর আক্রমণে নিহত বা আহতদের তিপূরণ দেওয়া হবে।
নীতিমালা অনুযায়ী, বন এলাকার চিহ্নিত সীমানায় প্রবেশের অনুমতিপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি বা সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারি বন্যপ্রাণীর দ্বারা আক্রান্ত বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে ক্ষতিপূরণ পাবে।
বন এলাকার চিহ্নিত সীমানার বাইরে কেউ আক্রান্ত হলে বা জমির ফসলসহ সম্পদের ক্ষতি হয়েছে এমন ঘটনা ঘটলে, ঘটনার সাতদিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বন অফিসের কর্মকর্তার কাছে নির্দিষ্ট আবেদনপত্রের মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার আবেদন করতে হবে।
এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে সংশ্লিষ্ট থানায় জিডির পাশাপাশি চিকিৎসকের সনদপত্রও আবেদনপত্রের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে।
সব উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সভাপতিত্বে একটি কমিটি থাকবে। ওই কমিটি তিগ্রস্ত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার অঙ্ক নির্ধারণ করবে।
বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, বাঘ ও মানুষের সংঘর্ষে প্রতি বছর গড়ে ১৫ থেকে ২৫ জন মানুষ ও দুটি বাঘ মারা যায়। ২০০০ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১৯৬ জন মানুষ ও ২৩টি বাঘ মারা গেছে।
হাতির আক্রমণে গত পাঁচ বছরে মারা গেছে ১৩৫ জন।
বাংলাদেশ সময় : ১৭৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১০