ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রূপগঞ্জে গ্রেপ্তার আতঙ্ক, নিখোঁজদের সন্ধান মেলেনি

জেলা প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১০

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ ও র‌্যাবের দায়ের করা পৃথক মামলায় সোমবার দুপুর পৌনে ৩টা পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তবে পুরো এলাকা জুড়ে বিরাজ করছে গ্রেপ্তার আতঙ্ক।



সরেজমিনে দেখা গেছে, রাস্তার পাশের কিছু দোকানপাট খোলা থাকলেও গ্রামগুলোর বাড়িঘরে নারী আর শিশু ছাড়া  কোনো পুরুষ দেখা যায়নি। সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচলও ছিল সামান্য। সড়কের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে কিশোর, শিশু আর বৃদ্ধদের জটলা দেখা গেছে। সবার মুখেই শনিবারের ঘটনা।

স্থানীয় সূত্রগুলো জানান, গ্রেপ্তার অভিযান আতঙ্কে রূপগঞ্জ থানা, ইছাপুর, কায়েতপাড়া, চনপাড়া, রূপগঞ্জ ইউনিয়নের বাড়িয়া ছনি, গোয়ালপাড়া, বাগবের, টেকবাড়ি, দণিবাগ, কেয়ারিয়া, বেইলার টেক, গুতিয়াবো, বিংরাবো, জাঙ্গীর, টান মুশুরী, শুইরাবো, সাবাসপুর, দণি নবগ্রাম, রূপগঞ্জ ও কায়েতপাড়া ইউনিয়নের পূর্বগ্রাম, ডাক্তারখালী, ছাতিয়ান, বড়ালু, ইছাখালী, পাড়াগাঁও, নগরপাড়া, মাঝিনা, মাঝিনা নদীরপাড়, হরিনা, হরিনা নদীরপাড়, বড়–না, নাওড়া, কামসাইর, দেলপাড়া, লাল মাটি, পশ্চিমগাঁওসহ ৪০-৪৫টি গ্রামের বেশিরভাগ পুরুষ এলাকা ত্যাগ করেছেন।

রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) ফোরকান শিকদার জানান, শনিবারের ঘটনাটি বেশ স্পর্শকতার। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। এলাকায় সার্বণিক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

তবে গ্রেপ্তার অভিযানের বিষয়ে কিছু বলতে চাননি তিনি।

এদিকে, শনিবারের ঘটনায় তিন দিনেও সন্ধান মেলেনি নিখোঁজদের।

সংঘর্ষের পর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন রূপগঞ্জ সদরের আশোক আলীর ছেলে জুম্মন (২৯), আবদুল করিমের ছেলে মাসুম (২৪), বানিয়াদি গ্রামের মিজানের ছেলে রনি (১১), কামসাইর গ্রামের মোস্তফার ছেলে শমসের (২৫), বাড়িয়াছনি গ্রামের রেয়াজউদ্দিনের ছেলে সাইদুর রহমান (২০) এবং একই গ্রামের শহর আলীর ছেলে মাসুদ (৩২)। শনিবার ঘটনার পর থেকে পরিবারের সদস্যরা তাদের খুঁজে পাচ্ছেন না।

অবশ্য মাসুদ ও সাইদুরের পরিবারের অভিযোগ, শনিবার ঘটনার সময়ে তাদেরকে গুলি করে একটি গাড়িতে করে তাদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।

জেলা পুলিশ সুপার বিশ্বাস আফজাল হোসেন জানান, এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad